বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্বোধন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫, ১২:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবিলিটি’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন এ উদ্যোগটির অফিসিয়াল লোগো এবং ওয়েবসাইট উন্মোচিত হয়েছে।
অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির এ ধরনের কোলাবোরেশন বাংলাদেশে এই প্রথম। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষাকে নতুনভাবে এগিয়ে নেওয়ার মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্যার ফজলে বিশ্বাস করতেন—শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, ফলপ্রসূ এবং মানব উন্নয়নের জন্য। বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সেই চেতনারই প্রতিফলন, যেখানে শিক্ষা হবে উদ্ভাবনের পথপ্রদর্শক এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত।
এই যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকে বার্তা জানাচ্ছে যে, বাংলাদেশ এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্লোবাল সাউথে এগিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই গড়ে উঠছে এমন নেতৃত্ব, যারা মানবকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যতের নগর, শিল্প ও সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে।
বিএসআরএম এর চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী এফসিএ বলেন, জাতি গঠনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো উচিত সরকার ও অন্যান্য খাতের এই ধরনের সহযোগিতা করা। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
এই দর্শনের অন্যতম প্রমাণ হলো বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রতিষ্ঠা। যা শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশ আপনাদের ডাকছে। বাইরের দিকে তাকাবেন না। এখানেই থাকুন, এখানেই কাজ করুন, এখানেই নিজেকে গড়ে তুলুন। আপনার জ্ঞান, শক্তি আর চিন্তাধারা আজ এই দেশেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আপনি যদি আজ দেশের যদি জন্য কিছু করেন সেটি কাল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ দেখাবে।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, আজ বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সুযোগ তৈরির একটি মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের অঙ্গীকারকে আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, আমার বিশ্বাস এই সহযোগিতার ফলে ইন্ডাস্ট্রির জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অ্যাকাডেমিয়ার সঙ্গে একত্রিত হয়ে তা ইতিবাচকভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বিএসআরএম এর মানবিক মূল্যবোধ—সব মিলিয়ে এটি কেবল একটি উদ্যোগ নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের অংশ।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
আমার বার্তা/এল/এমই