ঢাবির ছাত্রী হলে মানবিকতা নিশ্চিতকরণের দাবি
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১৫:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মা-বোনসহ নিকটাত্মীয়দের প্রবেশে ন্যূনতম মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও ঢাবির মেডিকেল সেন্টারে জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর তার কার্যালয়ে দুটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
একটি স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল (শনিবার) ঢাবির শামসুন্নাহার হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী তার গুরুতর অসুস্থ মাকে নিয়ে হলে প্রবেশ করতে গেলে হল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার শিকার হন। সারাদিন দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ করে আসা রোগাক্রান্ত মাকে মাত্র ৩০ মিনিট রুমে বিশ্রাম করার সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। রিডিং রুমে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এবং গেস্ট রুমের অব্যবস্থাপনার কারণে সেই শিক্ষার্থী তার মাকে গেস্টরুমের সোফায় শুইয়ে রাখতে বাধ্য হন, যা একজন শিক্ষার্থীর কাছে চরম অপমান এবং মানসিক পীড়ার কারণ।
স্মারকলিপিতে গুরুতর অসুস্থ বা জ্যেষ্ঠ আত্মীয়ের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অনুমতি ও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সাময়িক রুমে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টাফ ও ম্যাট্রনদের মানবিক আচরণ ও সংকটকালীন সময়ে সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
অন্য একটি স্মারকলিপিতে ঢাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে গাইনি ডাক্তার, জরুরি বিভাগ কর্নার ও অর্থোপেডিক্স বিভাগ চালুর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে তিনটি মূল দাবি তুলে ধরা হয়–
১. জরুরি বিভাগ কর্নার চালু : মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এমন একটি ইমার্জেন্সি ইউনিট চালুর দাবি জানানো হয়।
২. গাইনি ডাক্তার নিয়োগ : নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একজন পার্ট-টাইম হলেও নারী গাইনি চিকিৎসক যেন দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩. অর্থোপেডিক বিভাগ : হঠাৎ দুর্ঘটনায় পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক হাড়-জোড়া ও মাংসপেশি সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অর্থোপেডিক বিভাগের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা আমাদের পরিবার, নিরাপত্তা ও সম্মানের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান চর্চার জায়গা না হয়ে মানবিকতাবোধের জায়গাও হোক।
আমার বার্তা/এমই