জাবি প্রভোস্টের বাসায় কাজ না করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগ

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর নজরুল ইসলামের বাসায় কাজ না করায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া তিনজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে এ পদে অন্য তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। চাকরি ফেরতের জন্য ভিসি এবং প্রোভিসি বরাবর অনুরোধ করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চাকরিচ্যুত ৩ কর্মচারী। চাকরিচ্যুত ৩ কর্মচারী হলেন, মোছা. সোমা, মিরা রানি রায় ও চম্পা।

এ সময় তিন কর্মচারীর একজন চম্পা বলেন, আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানি অয়েল সিকিউরিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে জাবির ফজিলতুন্নেসা হলে দেড় বছর ধরে কাজ করছি। অধ্যাপক নজরুল হল প্রভোস্ট হয়ে আসার পর হলে কাজ করার পাশাপাশি তার বাসায় কাজ করার জন্য বলেন। সেখানে আমরা সাতজন অস্বীকৃতি জানাই। তার বাসায় আমাদের এক সহকর্মী তিনমাস অমানবিক কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

তারপরও তিনি হলে এসে অন্যান্য কর্মচারীদের বারো মাসে বারোজন কর্মচারীকে তার বাসায় কাজের জন্য জবরদস্তি করাসহ অফিস রুমে নিয়ে মানসিক অত্যাচার করে এবং চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য বাধ্য করতে থাকে। গতকাল কোম্পানির কর্মকর্তারা আমাদের তিনজনকে কোনো কারণ না দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করে।

তিনি বলেন, হল প্রোভোস্টের নির্দেশে হল সুপার আমাদের হলে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। আমাদের চাকরিচ্যুত করে স্যারের বাসায় যারা কাজ করে সেই তিনজনকে নিয়োগ দেয়।

আরেকজন চাকরিচ্যুত কর্মচারী মিরা রানি রায় বলেন, আমাকে এমন সময় চাকরিচ্যুত করা হয় যখন দুর্গাপূজার চলছে। এখন পূজার কোনো কিছুই আমি করতে পারছি না। চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে কোম্পানির কর্মকর্তাকে জানানো হলে কোনো কারণ জানায়নি।

এ সময় তারা বলেন, আমরা ভিসি, প্রো-ভিসি স্যারদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের চাকরি ফেরতের জন্য তাদের কাছে অনুরোধ করেছি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, আমার হলে সুইপার সংকট ছিল। তাদের সুইপারের কাজ করতে বলা হলে তারা অস্বীকৃতি জানান। তাই আউটসোর্সিং কোম্পানিকে জানানো হয়। তারা ওই তিনজনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। নতুন করে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ডাইনিংয়ে তাদের নিয়োগ হলেও সুইপারের কাজও করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত রোববার ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি সলিউশন লিমিটেডের এক আবেদনপত্রে ফজিলাতুন্নেসা হলের তিনজন (মোছা. সোমা, মিরা রানি রায়, চম্পা) কর্মচারী পরিবর্তন করে নতুন তিনজন (সিতু রানি, রহিমা আক্তার, সুমা বেগম) কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আমার বার্তা/এল/এমই