ইবির ‘আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের ভর্তিতে নতুন নিয়ম

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আসন্ন ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে নতুন নিয়ম করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগ। বিভাগটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ৪০ জন এবং কলেজ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ৪০ জন শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার  (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, বিভাগটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শুধু মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হতো।
ভর্তি পরীক্ষায় আল-ফিকহ সম্পর্কে আলাদা ২০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। পরবর্তীতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০টি এবং অন্যান্যদের জন্য ৪০টি আসন নির্ধারণ করা হয়। একটি শিক্ষাবর্ষে এ ধারা থাকলেও পরে এ নিয়মও পরিবর্তন করে মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই বিভাগটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে প্রায় ২৫০০ নাম্বারের আরবীতে ফিকহের বিষয় পড়ানো হয়।
কিন্তু আরবীতে অদক্ষ শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে পাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে বাংলা ভার্সনে লেখার সুযোগ দেন শিক্ষকরা। ফলে প্রচলিত আইনে পারদর্শী হলেও ফিকহের বিষয়ে পারদর্শী হতে পারছেন না তারা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা থেকে পূর্বের নিয়মে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগটি।

বিভাগের শিক্ষকরা জানান, বর্তমান নিয়মে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ায় আরবি কোর্সগুলো শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে বুঝে না। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফলাফল খারাপ করে রিটেক পরীক্ষা দেয়। এতে বিভাগে সেশনজট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই এই ধারা থেকে বের হয়ে পূর্বের ধারায় ফিরে যেতে চায় বিভাগটি।

এ বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিমুদ্দিন বলেন,  ‘বিভাগের নাম যখন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিস করা হয় তখন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫০ শতাংশ মাদরাসা এবং ৫০ শতাংশ জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থী নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তবে তৎকালীন প্রশাসনের আমলে বিভিন্ন কারণে এটা পরবর্তীতে প্রযোগ করা যায়নি। ফলে বিভাগের অনিচ্ছা সত্ত্বেও গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। এছাড়া বিভাগের পূর্বের ধারা অনুযায়ী আমরা সম্পূর্ণ মাদরাসারই নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায়নি। তাই এবার এই শর্তেই শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করানো হবে।’

বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বিভাগের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই শর্ত দেওয়া হয়েছে। এতে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। নতুন যারা আসবে তারা এই নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি হবে।’

আমার বার্তা/এল/এমই