নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) বর্ণিল ও প্রাণময় আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বার্ষিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ক্লাবের আয়োজনে সম্প্রতি দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।  

প্রতিবছরের মতো এবারও ‘এসিই-অ্যানুয়াল কালচারাল ইভনিং’ ক্যাম্পাসে এনে দেয় শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার এক ভিন্ন আমেজ। এবারের মূল থিম ছিল—‘উপলব্ধি’, যার কেন্দ্রবিন্দুতে বার্তা হিসেবে ছিল ‘বিবেক থেকে পালানোর সমাপ্তিই উপলব্ধির সূচনা।

পরিবেশনাজুড়ে গল্পনির্ভর নাটক, সমসাময়িক ও ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, একক ও দলীয় সংগীত, এবং এসিই নিউজসহ নানা উপস্থাপনা দর্শকদের মনোযোগ কেড়ে নেয়।  

ক্লাবের সদস্যরা পুরো আয়োজনের স্ক্রিপ্ট রচনা, কোরিওগ্রাফি, সঙ্গীত, লজিস্টিক, প্রোডাকশন ডিজাইন, স্টেজ সহ প্রতিটি ধাপ নিজেরাই পরিচালনা করেন। তিন মাস ধরে চলা প্রস্তুতি ও মহড়ার ফলস্বরূপ অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে দৃষ্টিনন্দন ও আবেগঘন।

বাংলার ঐতিহ্য, ইতিহাস, সামাজিক বার্তা এবং আধুনিক শিল্প-ভাবনার সমন্বয়ে ‘এসিই’ প্রতিবছরই হাজির হয় নতুন রূপে।
তাই এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, এনএসইউ-এর সাংস্কৃতিক পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস।

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান আজিজ আল কাইসার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আবদুল হান্নান চৌধুরী, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আব্দুর রব খান, এনএসইউএসএস এর ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর শাবনীন রহমান স্বর্ণা সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘এসিই’ এখন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান অংশ। আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরার লক্ষ্যেই ১৯৯৩ সালে এনএসইউএসএস যাত্রা শুরু করে।

আমার বার্তা/এল/এমই