গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

‘এমপাওয়ারিং ট্রানজিশন, বিল্ডিং ডেমোক্রেসি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গণতন্ত্র বিষয়ে আন্তর্জাতিক আন্তঃবিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন শুরু হয়। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এই সম্মেলনে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং সহনশীল সমাজ গঠনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, গণতন্ত্র কোনো চূড়ান্ত গন্তব্য নয়; এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই যাত্রায় অনিশ্চয়তা অনিবার্য, তবে ধৈর্য ও সহনশীলতার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে টেকসই করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় ‘রূপান্তর’ বলতে মূলত রাজনৈতিক ও সামাজিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে মোকাবিলা করাকে বোঝায়, যার কোনো সহজ বা তাৎক্ষণিক সমাধান নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন, সংস্কারের স্থায়িত্ব, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার— এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে বহুমাত্রিক ও আন্তঃবিষয়ক আলোচনার বিকল্প নেই। এ ধরনের সম্মেলন গণতন্ত্রকে নতুনভাবে বোঝার ক্ষেত্র তৈরি করে।

উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ একটি সহনশীল ও আশাবাদী জাতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। এই সম্মেলন দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে নতুন আলোয় দেখার সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি বুদ্ধিবৃত্তিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (পিপিএসআরএফ) সভাপতি ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ভিডিও বার্তায় তার বক্তব্য প্রদান করেন।

আয়োজকরা জানান, সম্মেলনের জন্য জমা পড়া প্রায় ১৬৫টি গবেষণাপত্রের মধ্য থেকে বাছাই করে ৬৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে অনলাইনে প্রায় ২০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এবং বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশ এই সম্মেলনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।


আমার বার্তা/এমই