প্রাইমএশিয়ার পারভেজ হত্যা, শিক্ষার্থী ফারিয়া হক টিনা গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ১২:১০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাম আসা দুই নারী শিক্ষার্থীর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম ফারিয়া হক টিনা। তিনি ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ফারিয়া হক টিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পারভেজ হত্যা মামলায় গত ২৩ এপ্রিল রাতে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি মেহরাজকে। অপরদিকে হৃদয় মিয়াজী নামে আরেক আসামিকে ২১ এপ্রিল কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ ছাড়াও এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মাহাথির হাসান ও মো. আল কামাল শেখ নামে দুজন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তারা এখন কারাগারে।
এ মামলায় আরও গ্রেপ্তার আছেন আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি নামে দুজন। রিমান্ড শেষে তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।
আর সর্বশেষ ফারিয়া হক টিনাকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট সাতজন গ্রেপ্তার হলেন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় নাম আসা দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে বলেন আদালত।
গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ক্যাম্পাসের পাশে একটি দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন পারভেজ। তাদের পাশে সদ্য ভর্তি হওয়া ইংরেজি ও ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বন্ধু ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী ছিলেন। এক পর্যায়ে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন পারভেজ তাদের উত্যক্ত করেছেন। তারা বিষয়টি প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রক্ট্ররকে জানান।
এরপর প্রক্টর পারভেজকে ডেকে নেন। প্রক্টর অফিসে পারভেজ দাবি করেন, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের আলাপের বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করছিলেন, কাউকে উত্ত্যক্ত করেননি। এক পর্যায়ে ওই দুই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হলে পারভেজ ক্ষমাও চান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সেখানেই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে হুমকি দেন। প্রক্টরের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার পর কিছু বহিরাগত এসে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে ধারালো কিছু দিয়ে পারভেজের বুকে আঘাত করে তারা পালিয়ে যান।
পরে রক্তাক্ত পারভেজকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীরের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নাম না দিয়ে আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।
আমার বার্তা/জেএইচ