রাতেও ভিড় শনির আখড়া পশুর হাটে, চলবে সকাল ৭ টা পর্যন্ত
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৫, ০৫:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। যারা কোরবানির পশু কিনতে পারেননি তার ছুটে আসছেন রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। ঈদের রাতেও রাজধানীবাসী এখন হাটমুখো। পশু বেচাকেনা চলবে ঈদের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত।
শুক্রবার (৬ জুন) দিবাগত রাতে শনির আখড়া ও কাজলা হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে শনির আখড়ায় ও দনিয়া এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অস্থায়ী পশুর হাটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।
শুক্রবার সকালে, এরপর বৃষ্টির মধ্যে দুপুরে পশু বিক্রি হলে দিনশেষে বিক্রি বাড়তে থাকায় আরও গরুর আমদানি শুরু হয়। বিকেল থেকে হাট ঘুরে ক্রেতার ঢল দেখা গেছে। প্রিয় কোরবানির পশু কিনতে রাতেই হাটে এসেছেন অনেকে। কেউ কেউ রাতভর হাটে অপেক্ষা করছেন ভালো মানের পশুর আশায়। এই হাটে মিলছে নানা জাতের গরু, ছাগল, খাসি, মহিষ এমনকি দুম্বাও। ক্রেতারা দরকষাকষি করে খামারি ও ব্যাপারীদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছিলেন পছন্দের পশু।
প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর। এখন শেষদিকে বড় গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। বড় গরুর প্রতি আগ্রহ কিছুটা কম থাকায় হাট শুরুর দিকে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন অনেক বিক্রেতা।
কিন্তু এবার গরু নিয়ে আশাবাদী খামারি ও ব্যাপারীরা বলছেন, গত কয়েকদিন তেমন বিক্রি না হলেও শুক্রবার ভোর থেকে পশু বিক্রি জমে উঠেছে। বিকেলের মধ্যে বেশিরভাগ পশু বিক্রি হয়ে মোটামুটি খালি হওয়ার মতো অবস্থা। এরমধ্যে গরু বোঝাই গাড়ি আসতে শুরু হয় এবং রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রাক বোঝাই করে গরু এনে শনির আখড়ার হাটগুলোতে নামানো হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা গরুর ব্যাপারী জানান, আজ সকালে ১১টা গরু নিয়ে আসছিলাম, এখন একটা আছে। এটাও দরদাম হচ্ছে, বিক্রি হয়ে যাবে। দাম ভালো পেয়েছি। গরুর চাহিদা বেড়েছে।
জামালপুর থেকে আসা এক ব্যাপারী বলেন, সকাল থেকে বিক্রি ভালো হচ্ছে। বিকেলের পর ভিড় আরও বাড়বে। ১২টা গরু বিক্রি করেছি, আরও ১টা আছে।
আমার বার্তা/এল/এমই