কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাস গ্যাসের সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। অবৈধ সংযোগ শনাক্ত ও উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিমন সরকারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান চলাকালীন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ পারভেজ উপস্থিত থেকে অভিযান তদারকি করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন গ্রাহক এলাকায় অবৈধ সংযোগবিরোধী জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান।

অভিযানে কড়াইল বস্তিতে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের সময় গুলশানের বিভিন্ন রোডের সঙ্গে সংযুক্ত লাইনগুলোও কেটে দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন সাইজের প্রায় ৭০০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়। গুলশান লেক ভিউ হোটেলে গ্রাহক নম্বর ১২৮-২১৬২১–এর বিপরীতে মিটারবিহীন আবাসিক রাইজার থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহার ধরা পড়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়।

বুধবার সকাল ৯টায় গুলশান সোসাইটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে গুলশান এলাকার বিভিন্ন অবৈধ সংযোগের পয়েন্ট পরিদর্শন করেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ সময় পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা, গুলশান সোসাইটির সভাপতি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, গুলশান থেকে কড়াইল বস্তিগামী অবৈধ গ্যাসলাইন নিয়মিত বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা বারবার অবৈধভাবে সংযোগ স্থাপন করছে। গুলশান সোসাইটির অংশগ্রহণ এই অভিযানে নতুন গতি ও কার্যকারিতা আনবে।

তিনি আরও জানান, তিতাস গ্যাস ও গুলশান সোসাইটি যৌথভাবে কড়াইল বস্তিগামী অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৩৭৮টি শিল্প, ৫১৭টি বাণিজ্যিক ও ৭০,৮৫৫টি আবাসিকসহ মোট ৭১,৭৫০টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ২৯১.৩ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ ও ১,৫২,৫১৯টি বার্নার জব্দ করা হয়েছে।


আমার বার্তা/এমই