প্রশিক্ষিত রাজনৈতিক কর্মীর মাধ্যমেই রাষ্ট্র মেরামত সম্ভব: ড. নয়ন বাংগালি
রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ-এর আয়োজনে দিনব্যাপী রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের ইউসেপ মিলনায়তনে দেশের ২৫ জেলার ৫৫টি দলের কো-অর্ডিনেটর ও প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে 'রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় একদিন' শীর্ষক এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. গোলাম রব্বানী নয়ন বাংগালির উদ্বোধনী বক্তব্য ও সমাপনীতে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এই ভিন্ন ধারার রাজনীতি প্রশিক্ষণ আয়োজন।
কর্মশালাটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়। এতে ছিল— শিষ্টাচার বা রাজনৈতিক সামাজিক আচরণ, সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আমাদের করণীয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রণীত ৩১ দফা শীর্ষক আলোচনা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার ও গণযোগাযোগ এবং নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব-কর্তব্য বিষয়ক আলোচনা। সমাপনী পর্বে ছিল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ ও শপথ বাক্য পাঠ।
স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ-এর পলিটিক্যাল উইংয়ের পরিচালক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সভাপতিত্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্কুল অব লিডারশিপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. জামিল আহমেদ।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট এম. আমিনুল ইসলাম মুনির, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ-এর পলিটিক্যাল উইংয়ের কোঅর্ডিনেটরস আসগর হোসেন ভুঁইয়া, আশরাফুল আলম চিশতী, সাদেক আহমেদ ভুঁইয়া, আরিফ আহমেদ ভুঁইয়া, ফেরদৌস জাহান খান, বাঙালির পাঠশালার চেয়ারম্যান ও দেশের টিভির সিইও মঞ্জুর এলাহী তপন প্রমুখ।
সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আমাদের করণীয় সেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও সমাজকর্মী কাউসার চৌধুরী।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যাবহার এবং গণযোগাযোগ শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন লেখক ও সমাজকর্মী রেজওয়ানুল হক শোভন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রণীত ৩১ দফা শীর্ষক আলোচনা সরাসরি অংশ নেন সারা দেশ থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীরা। তারা একেকজন এক একটি দফার উপস্থাপন করেন এবং এর বাস্তবায়ন ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্ব তুলে ধরেন।
নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব-কর্তব্য বিষয়ক আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার এসএম শফিউল্লাহ।
আসগর হোসেন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ ও শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডক্টর জিয়া হায়দার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. জিয়া হায়দার বলেন, এখন কেবল উচ্চস্বরে স্লোগান আর বক্তব্য রেখে রাজনীতি করার দিন শেষ, এখন সময় বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীল রাজনৈতিক চর্চার।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, স্কুল অব লিডারশিপ যেভাবে নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এটাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন। এর মাধ্যমেই দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রশিক্ষণার্থীরা আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন এবং অতিথিরা সানন্দে তার উত্তর দেন।
দিনব্যাপী কর্মশালার উপস্থাপনায় ছিলেন স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ-এর পলিটিক্যাল উইংয়ের কোঅর্ডিনেটর আশরাফুল আলম চিশতী ও ইউথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনির।
নয়ন বাংগালি বলেন, আমরা যে নৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করছি তা এমপি-মন্ত্রী বানানোর জন্য নয়, দেশের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য।
আমার বার্তা/এমই
