ধান কেটে উঠানে আনলেও তোলা হলো না ঘরে

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

নিভৃত পল্লীর দরিদ্র কৃষক বাবলু, দুদু, ও শফিকুল। সবাই বর্গা চাষি। ঘরের চালের ভাত খাওয়ার স্বপ্নে আবাদ করছিলেন রোপা আমন ধান। ইতোমধ্যে পরিপক্ক ধান কেটে উঠানে স্তুপ করে রেখেছিলেন তারা। এরই মধ্যে সেই স্তুপে অগ্নিসংযোগে ধান পুড়ে ছাই করেছে দৃর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গাড়ানাটা গ্রামে দেখা যায়. আগুনে পোড়ানো ধানের বীভৎস্য চিত্র। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওইসব কৃষক ক্ষেতের ধান কেটে তা মাড়াইয়ের জন্য একটি বিদ্যালয় মাঠে স্তুপ করে রেখেছিলেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে কৃষকরা আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। পরবর্তী ভোরবেলার দিকে দুর্বৃত্তরা আবারও অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। এতে স্তুপের সম্পূর্ণ ধান পুড়ে যায়।

এ ঘটনায় গাড়ানাটা গ্রামের মৃত দেলোয়ার মন্ডলের ছেলে বাবলু মিয়ার ২০ শতক, মৃত তজের উদ্দিনের ছেলে দুদু মিয়ার ৪৫ শতক ও দুদু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামের ৪৫ শতক জমির ছাই হয়েছে। তারা জমি বর্গা নিয়ে ধানচাষ করছিলেন বলে জানা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দুদু মিয়া ও শফিকুল মিয়া বলেন, আমরা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা আছি।

কৃষক বাবলু মিয়া বলেন, যারা আমার পরিবারের ৬ মাসের খাবার নষ্ট করছে, সেটি সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত সহায়তা কামনা করছি।

এ বিষয়ে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র কৃষকদের সঙ্গে নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান করবেন বলে জানান তিনি।


আমার বার্তা/জেএইচ