এখনো খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিনমাস্টার হুমায়ুনের

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাট প্রান্তে ২০০ মিটার অদূরে রজনীগন্ধা ফেরি ডুবির ৪২ ঘণ্টায়ও খোঁজ পাওয়া যায়নি ফেরিটির সেকেন্ড ইঞ্জিন মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)।

রজনীগন্ধা ফেরি ডুবির সময় ফেরিতে থাকা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ রয়েছেন হুমায়ুন কবির। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ট্রাকের চালক ও হেলপার।

জানা গেছে, নিখোঁজ হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। তার পরিবারে স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসির চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। দীর্ঘ ৭ মাস আগে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরিতে যোগ দিয়েছিলেন। নিখোঁজ হুমায়ুন কবির বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‌‘দুর্ঘটনা কবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে আছেন।’

এদিকে ফেরি ডুবির ৪২ ঘণ্টায়ও ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের খোঁজ না পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. মহসিন ভুঁইয়া।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। গত বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। গত বুধবার সকাল আটটার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার ৩১ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মাল বোঝাই ট্রাকটিকে ওপরে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ দুর্ঘটনায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, ‘এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গত বুধবার সকাল সোয়া আটটার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাট থেকে ২০০ মিটার অদূরে পদ্মায় নয়টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় ঘন কুয়াশায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হুমায়ূন কবীর নামে ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।


আমার বার্তা/জেএইচ