সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

গ্যাস সংকট নিরসনসহ ৫ দফা দাবিতে সিলেটে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা।

সিলেট নগরীসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় যানবাহন শূন্য রয়েছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই কর্মসূচি পালন করছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া বলেন, পরীক্ষার্থী, বিদেশযাত্রী ও রোগী বহনকারী গাড়ি এই কর্মসূচির বাইরে রয়েছে।

সরেজমিনে সিলেট কুমারগাও বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাসা ছেড়ে যায়নি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও একই পরিস্থিতি। অনেককে ব্যাগ হাতে সড়কে দাঁড়িয়ে দূরপাল্লার যানের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের পায়ে হেটে কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

নগরীর মদীনা মার্কেটে কথা হয় আরিফ আহমদ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা যে কতটা বিবেকহীন আজকের দৃশ্য না দেখলে বুঝতে পারতাম না।

তিনি বলেন, অনেক পরীক্ষার্থী সময়মত কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছে কিনা সন্দেহ আছে। কারণ সড়কে গণপরিবহন নেই।

পরীক্ষার্থীদের বহনকারী অটোরিকশাচালক রফিক বলেন, আমার বোন পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছি। সঙ্গে বোনের সহপাঠীদের নিয়ে এসেছি। এখন খালি গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। পথে বাধা রয়েছে। তাই পরীক্ষা শেষে পুনরায় ওদের নিয়ে বাড়ি ফিরব।

এর আগে, গত রোববার সিলেট কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন থেকে পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসের ১৮-২০ তারিখের পর ‘লিমিট’ শেষ হয়ে যায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত গাড়ির চালকেরা।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপক্ষো করতে হয়। গত কয়েক বছরে গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও সমাধান মিলছে না। বেশ কয়েকবার আন্দোলনও করা হয়েছে। কিন্তু কাজে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এবার আন্দোলনে নেমেছি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও  সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া বলেন, বিভিন্ন সময় ‘মিথ্যা’ মামলায় শ্রমিকদের হয়রানি করে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। এ দুটি প্রধান দাবিসহ ৫ দাবিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে গিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা যাতে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করে, সেই নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে পুরো বিভাগ অচল করে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।


আমার বার্তা/জেএইচ