কার্পাস তুলার চাষে ভাগ্য ফিরছে চাষিদের

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

লাভজনক ও ফলন ভালো হওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বেড়েছে কার্পাস তুলার চাষ। চলতি মৌসুমে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৫০ হেক্টর জমিতে ৪৪ জন কৃষক তুলা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এতে তুলা চাষে অনেকেরই ভাগ্যবদল হবে বলে আশা করছেন সংশিষ্টরা।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলায় এ বছর তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ মেট্রিক টন। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ মেট্রিক টনে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে দেড় কোটি টাকা। এ হারে কৃষকের আয় হবে মোট মূল্যের ৭০ ভাগ। এই মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলার, পৌরসভা, খয়েরবাড়ি, বেতদীঘি, দৌলতপুর এই চারটি ইউনিয়নে কার্পাস তুলা চাষ হচ্ছে।

উপজেলার খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের নলডাঙ্গা এলাকার তুলা চাষি মতিলাল সিংয়ের ছেলে মনোরঞ্জন সিং বলেন, ১২ বছর ধরে আমি কার্পাস তুলার চাষ করে আসছি। এক বিঘা জমিতে তুলা চাষে খরচ হয়েছিল ৫-৬ হাজার টাকা। তুলা বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজার টাকার। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তুলার বর্তমান বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৯৭ টাকা। এবার বৃষ্টির কারনে ফলনে সমস্যা হলে ও বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ১ লাখ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করতে পারবো।

একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তুলা চাষি মেহেরাজ বলেন,বলেন, ‘অন্য ফসলের চেয়ে কার্পাস তুলা চাষে খরচ কয়েকগুণ কম। আমি সরকারিভাবে বীজ, সার ও কীটনাশক পেয়ে চলতি মৌসুমে দেড়শত শতক জমিতে কার্পাস তুলা চাষ করেছি।’

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (ফুলবাড়ী ইউনিট অফিসার) আবু জুয়েল বলেন, ‘উৎপাদিত তুলা বাজারজাতে ন্যায্যমূল না পাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা তুলা উৎপাদনে আগ্রাহ দেখাচ্ছেন না। উচ্চ পর্যায়ে আলোচনায় তুলা চাষে আরো প্রনোদনাসহ উৎপাদিত তুলা বাজারজাতকরণের নিশ্চয়তা দেয় সরকার। একই সঙ্গে প্রণোদনা হিসেবে সরকারিভাবে বীজ, সার এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়। তুলা ৯৭ টাকা কেজি দরে বিক্রির নিশ্চয়তা দেওয়াতেই পাল্টে যাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের চিন্তাধারা ও ভাগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় কার্পাস তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। আগামীতে তুলা চাষে এ এলাকার কৃষকের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলেও আশা করছি।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (উপ-সহকারী) কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যের পরই বস্ত্রের স্থান। আর এ বস্ত্রের ৭০ ভাগ আসে তুলা থেকে। তুলা একটি লাভজনক ফসল। দিন দিন উপজেলায় তুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫০০ মেট্রিক টন তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে দেড় কোটি টাকা।


আমার বার্তা/জেএইচ