বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে রাজস্ব আয় কমলেও বেড়েছে আমদানি রপ্তানি রাজস্ব
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:২০ | অনলাইন সংস্করণ
পাটগ্রাম ( লালমনিরহাট) প্রতিনিধি :

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় ভিসা জটিলতার কারণে চেকপোস্টে কমেছে যাত্রী পারাপার।
ভারত, ভুটান, নেপালসহ তিন দেশ ভ্রমণে ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টটি।
গত ৪ আগস্ট রংপুর ভারতীয় হাইকমিশন ভিসা প্রসেসিং বন্ধ করে দেয়ায় শুরু হয় জটিলতা। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ভ্রমণপিপাসু ও মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদনকারীরা।
ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা যায়, এবার পুজোর ছুটিতে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ থাকার পরও ছুটিতে ভারত ভ্রমণে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পারেনি উত্তর অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু মানুষ ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। শারদীয় পুজো ও কালিপুজার ছুটিতেও নেই কোন যাত্রী পারাপার ভিড়। অনেকে মেডিকেল ভিসার জন্য ভোগান্তিতে পড়েন যা বর্তমান সময়ে প্রকট আকার ধারণ করে।
ভ্রমণপিপাসু সাইদ বলেন, এবার পুজোর ছুটিতে স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ থাকার পরও ছুটিতে ভারত ভ্রমণে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পারিনি। আমি দ্রুত এটার সমাধান চাই।
এছাড়াও যাত্রী পারাপার কম হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি কমেছে স্হানীয় সাধারণ দিন মজুর, ভ্যান চালক, গাড়িচালকদের আয়।
স্হানীয় পরিবহন খাতের শ্যামলী এন আর কাউন্টার ম্যানেজার পলাশ বলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় যাত্রী অনেক কম, আশা করি দ্রুত এটার সমাধান হবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০-৫০০ যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল কিন্তু বর্তমানে তা ১৫০-২০০ তে নেমে এসেছে। ভারতীয় হাইকমিশন ভিসা দিতে জটিলতা সৃষ্টি করায় যাত্রী পারাপারের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন- ভিসা জটিলতায় যাত্রী পারাপার কমেছে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দিয়ে। তবে দ্রুত ভিসা জটিলতা কেটে যাবে বলে মনে করেন।
অপরদিকে, ভিসা জটিলতায় কারণে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে রাজস্ব আয় কমলেও স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের আমদানি -রপ্তানি কার্যক্রম ও রাজস্ব আয়।
বন্দরসংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি -রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ গাড়িতে চলে আমদানি -রপ্তানির কাজ।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও তথ্য অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন, বন্দরে দিয়ে আমদানি -রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ গাড়িতে চলে আমদানি -রপ্তানির কাজ। শীতকালে ভুটানি কমলা আমদানি হয় যেহেতু এটি পঁচনশীলপণ্য তাই যেদিনই ভুটান থেকে দেশে আমদানি করা হয় ও বন্দরে প্রবেশ করে, সেদিনই যাচাই প্রক্রিয়া শেষে পণ্য খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয় । ভুটানি ফল আমদানি আগের তুলনায় একটু কম হলেও অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। গত বছর নভেম্বর তুলনায় এবছর নভেম্বরে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।