২ স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবক গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাংশা উপজেলার কসমাবাঝাইল ইউনিয়নের কুঠি মালিয়াট গ্রামের উজ্জল মন্ডলের ছেলে শিহাব মন্ডল (২০) ও একই গ্রামের জেহের মন্ডলের ছেলে মো. হাসমত মন্ডল (২১)।
এর আগে গত রোববার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের নাওরা বনগ্রাম এলাকায় দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। ওই দুই শিক্ষার্থী বনগ্রাম আতারুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ভুক্তভোগী দুইজনই সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রাম (সাহাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীর বাবা ও অপর শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী স্কুল থেকে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফিরছিল। তারা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের নাওরাবনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে সিহাব ও হাসমত নামে দুই যুবক তাদের পথরোধ করে। এ সময় ওই দুই যুবক শিক্ষার্থীদের ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে পরিত্যক্ত স্কুলের ভেতর নিয়ে যায়। পরে সিহাব মন্ডল এক শিক্ষার্থীকে পানের বরজের ভেতর নিয়ে যায়। অন্য শিক্ষার্থীকে হাসমত আলী পরিত্যক্ত স্কুলের ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, পাংশায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া দুই স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়েরের পরে পুলিশ ঘটনার দিন রাতে মাছপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শিহাব মন্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে গত ১৬ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে কুঠিমালিয়াট এলাকা থেকে মামলার অপর এক আসামি হাসমত মন্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আমার বার্তা/জেএইচ