চট্টগ্রামে প্রাণহানির ঘটনার ৩ মাস পর পলাতক বাসচালক গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে শিশুসহ ১১ জন মাইক্রোবাস যাত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাসচালক মো. সোহেল তালুকদারকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সোহেল তালুকদার ঢাকার দক্ষিণখান থানার ফরহাদাবাদ এলাকার মো. হানিফের ছেলে।
র্যাব জানায়, মো. রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গত ১ এপ্রিল আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীসহ মোট ১১ জন সদস্যকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি মাইক্রোবাসযোগে যাত্রা করেন। পরদিন বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় এলাকায় চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের বাসের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাস্থলে রফিকুল ইসলাম স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও ৩ জন। এরপর ৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক তরুণীর মৃত্যু হয়।
এদিকে, রিলাক্স পরিবহনের বাসটি ঘটনাস্থলে রেখে বাস চালক পালিয়ে যায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, রিলাক্স পরিবহনের বাসচালক মো. সোহেল ঢাকার মিরপুর মডেল থানা এলাকায় অবস্থান করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিয়ে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিল সোহেল। তাকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিতে কক্সবাজারমুখি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ১০ যাত্রী নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরেকজন মারা যান। ঘটনার পরপরই রিল্যাক্স পরিবহনের চালক সোহেল পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের শ্যালক রবিউল হোসাইন বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় অচেনা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
আমার বার্তা/এল/এমই