শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, ঝুঁকিতে রয়েছে পাঠদান

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

পুরনো ভবনে বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। সেই ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ছে কখনও মেঝেতে। আবার কখনও শিক্ষার্থীদের মাথার ওপরে।

এ যেন দেখার কেউ নেই। এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমন বেহালদশা চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ভানুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শুধু ছাদ নয়, দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে আছে। আবার কিছু কিছু জায়গা খসেও পড়ছে। প্রায়ই পাঠদানের সময় ছাদ ভেঙে পড়ছে। এতে প্রতিদিনই আতঙ্কের মধ্যে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজান, ইসরাত, তানহাসহ আরও কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, ওপর থেকে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় তাদের বিদ্যালয়ের একাধিক ছেলে মেয়েরা ব্যথা পেয়েছে। শ্রেণিকক্ষের দরজা -জানালা, দেয়ালসহ বিভিন্ন অংশে ভাঙা ও ফাটল রয়েছে। তাই একটা নতুন ভবন আমাদের জন্য নির্মাণ করা হোক। তাহলে নির্ভয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা যাবে। এখন আসলেই ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। যেকোনো সময় যেনো ছাদ ভেঙে পড়বে মাথায়। এমন আতঙ্কে থাকতে হয়।

হোসনে আরা নামে একজন শিক্ষক বলেন, ‘আমরা যখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করি। ওই সময় শিশুদের নিয়ে আতঙ্কেই থাকি। মনে হয়, যেকোনো সময় ছাদ ভেঙে পড়বে।বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে  দুশ্চিন্তায় থাকে।
তাই আমরাও বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকি। সরকারের কাছে দাবি, বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।’
 
অভিভাবক আমেনা বেগম, মহসিন হোসেন বলেন, ‘বাচ্চারা ভয়ে যেতে চায় না সেখানে।  ছাদ ভেঙে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের সবগুলো শ্রেণিকক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। বাচ্চাদের পাঠিয়ে থাকতে হয় আতঙ্কে। বিদ্যালয়টি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানান তারা।’ 
 
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ আছে। পাঠদানের কোনো পরিবেশ নাই। দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ভেঙে ভেঙে পড়ছে দেয়াল। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের উপর। স্কুলের মাঠ ভরাট না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যায়। শ্রেণির কার্যক্রম  চালানোর পরিবেশ নাই। ঝুঁকিপূর্ণ এমন বিদ্যালয়ে অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের পাঠাতে চান না। দরজা জানালা গুলোও ভেঙে গেছে। তারপরও ঠিক মতো পাঠদান চালিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিদ্যালয়টি সংস্থার ও নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ভবন মেরামত ও নতুন একটি ভবন করে দেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এ বিষয় মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী  প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান জানান, ভানুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য আবেদন করা আছে। তবে বরাদ্দ পেলেই ভবন নির্মাণ করা হবে।

আমার বার্তা/এল/এমই