নিষেধাজ্ঞার আগের দিন শেষ সময়েও ইলিশের খোঁজে ছুটছেন জেলেরা
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মা ইলিশ সংরক্ষণে আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ার শঙ্কায় ভোলার দুই লক্ষাধিক মৎস্যজীবী। তবে শেষ মুহূর্তটুকু কাজে লাগাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইলিশ শিকারিরা। এদিকে সচেতনতামূলক প্রচারণা আর কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আশাবাদী মৎস্য বিভাগ।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রি ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গত ২৪ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে আজ মধ্যরাত পর্যন্ত জেলেরা মাছ ধরতে পারবেন। তাই শেষ সময়টুকু কাজে লাগাতে অনেকে ছুটছেন নদীতে ইলিশের খোঁজে।
নিষেধাজ্ঞার আগের দিন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দেখা মিলছে সরগরম দৃশ্য। কেউ জাল টেনে আড়তে মাছ জমাচ্ছেন, আবার নতুন আশায় নদীতে নামছেন। ঘাটে ঘাটেও চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। এরমধ্যেই সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে অধিকাংশ ফিশিং ট্রলার। ট্রলার ও নৌকা নদীর তীরে নোঙর করছে, জাল ও সরঞ্জাম নিরাপদে রাখছেন জেলেরা।
অভিযান সফল করতে মাঠে নেমেছে মৎস্য বিভাগও। ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকিং আর ঘাট সভা করে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবুও মাছের ঘাটতির কারণে কিছুটা হতাশ জেলেরা। অনেকে বলছেন, ইলিশের অভাবেই তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। অভিযানের সময় সংসার চালাতে সরকারি সহায়তা দ্রুত বিতরণের দাবি জানিয়েছেন নাছির মাছির জেলে মফিজুল হক, শিবপুর ঘাটের নিরব ও মো. মনিরসহ অনেকে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় এবার মাছ অনেক কম মিলেছে। এতে জেলেরা বিপাকে পড়েছেন। নিষেধাজ্ঞা শুরুতেই সরকারি সহায়তা বিতরণ জরুরি, না হলে সংসার চালানো কষ্টকর হবে।’
আর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ‘নিষেধাজ্ঞা সফল করতে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ২২ দিন নদীতে টানা অভিযান চালানো হবে।’
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মোট ৩৭টি জেলার ১৬৫টি উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার ১৪০ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ (চাল) দেয়া হবে। পরিবার প্রতি বরাদ্দ থাকবে ২৫ কেজি চাল। পুরো কার্যক্রমে মোট ১৫ হাজার ৫০৩.৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই