ঢাকা ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদ সভা

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  জাহিদুল আলম,ঢাকা:

ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক  অনিয়মে প্রতিবার সভা আয়োজন করে, রেশনিং কর্মকর্তা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সাজানো নাটকীয়তার অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য অধিদপ্তরের ঢাকা রেশনিং দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত সাম্প্রতিক নিয়োগ লটারিকে কেন্দ্র করে বঞ্চিত একাধিক ডিলার এ অভিযোগ  ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর ওএমএস ডিলার নিয়োগ ২০২৪/২৫  প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেছে।

ভুক্তভোগী ডিলাররা জানান, প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো স্বচ্ছ লটারি ছিল না, বরং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রভাবশালী মহলের ইচ্ছামতো নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য লোক দেখানো একটি প্রহসন। তারা দাবি করেন, অনেক ডিলারকে বৈষম্যমূলকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত ডিলারগণ বক্তব্য উঠে এসেছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (IEB) ভবনে উক্ত লটারি অনুষ্ঠিত হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী আগে থেকে লিখিত নোটিশ না দিয়ে কেবলমাত্র নির্বাচিত কিছু ডিলারকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে ডাকা হয়। ঐ এসএমএস  প্রবেশের গেটপাস হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে—কেন সব ডিলার সেই বার্তা পাননি?পূর্বে নোটিশ ইস্যু না করে শুধুমাত্র মোবাইল বার্তায় কেন ডাকা হলো?কেন সংবাদপত্র, বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ বোর্ডে কোনোরূপ প্রচার করা হয়নি?
অনেক আবেদনকারীই এসএমএস পাননি, ফলে লটারিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ হারান। অথচ যেসব ডিলারের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তারাই আমন্ত্রণ পেয়ে লটারিতে অংশ নেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজয়ী হন।

ভুক্তভোগী ডিলারদের দাবি ওএমএস নীতিমালা ২০২৪ অনুসারে পূর্বের ডিলারদের বাদ দেওয়া যাবে না, যতক্ষণ না তারা দোষী প্রমাণিত হন।এলাকা ভিত্তিক সকল আবেদনকারীর তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং স্বচ্ছভাবে নাম উত্তোলন করতে হবে।

২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত লটারি অবিলম্বে বাতিল করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়।ঘুষ-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে ন্যায়ভিত্তিক ডিলার নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।রেশনিং কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া ও তদারকি কার্যক্রম শক্তিশালী করতে হবে।

বক্তারা  আরও প্রস্তাব দেন— ডিলারদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ওএমএস পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে অনিয়ম যেন না হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। বাইরোটেশনের মাধ্যমে রোস্টার বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
প্রতিটি ওএমএস বিক্রয় শুরুর আগে ও শেষে কন্ট্রোল রুমকে ভিডিও কলের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। কালোবাজারি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।কোনো ডিলার অনিয়ম করলে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ভুক্তভোগী ডিলাররা একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বঞ্চিত ডিলাররা সংগঠিত হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তবে রাজধানীতে ব্যাপক আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ কাউসার আহমেদ, তরিকুল ইসলাম সবুজ, শহীদুল হক শহীদ অমিত হাসান, হাবিবুর রহমান, মারুফ হোসেন মাছুম,আজহারুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বাবু,  মো: বাসেত, ও আলমগীর হোসেন সহ অন্যান্য ডিলার গন ।