
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় পাঁচ শিশু। একে একে চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও দুইদিন নিখোঁজ থাকে বৈশাখী (১২)।
অবশেষে রোববার (২ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার ভাটিতে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এ নিয়ে নদীতে ডুবে নিহত ৫ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নিহত বৈশাখী শেরপুরের নকলা উপজেলার টাংগালিয়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।
এর আগে চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো- মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানী এলাকার প্রবাসী দুদু মিয়ার দুই সন্তান আবু হাসান (৮) ও মরিয়ম (১২), কাজিয়াবাড়ী এলাকার আজাদের মেয়ে কুলসুম এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউশী এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইরা আক্তার (৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মাদারগঞ্জের চর ভাটিয়ানীতে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে বৈশাখী। পরদিন শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় সেসহ পাঁচজন। ঘটনার দুইদিন পর আজ রোববার সকালে মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানী এলাকায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার ভাটিতে ঝিনাই নদীতে বৈশাখীর মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মোট ৫ শিশু নিহত হলো। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে কুলসুম ও বৈশাখী নামে দুই শিশু। ঘটনার পরদিন শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে কুলসুমের মরদেহ উদ্ধারের পর বিকেলে অভিযান সমাপ্ত করে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে স্থানীয়রা নিখোঁজ বৈশাখীর মরদেহ উদ্ধার করে।
উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের সদস্য ওয়াহেদ আলী নান্নু জানান, সকালে স্থানীয়রা বৈশাখীর মরদেহ নদীতে ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে।
শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে যায় ৬ শিশু। এসময় ইয়াসীন নামে এক শিশু সাঁতরে তীরে উঠে এলেও বাকি ৫ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে।
আমার বার্তা/এল/এমই

