জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মহিলা দলের দুই কর্মীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

মহিলা দলের দুই কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীর বিরুদ্ধে। একজনকে স্যান্ডেল খুলে মারধর এবং অন্যজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী দুই নারী।  

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় জানানো হয় তারা মহিলা দলের কর্মী। এছাড়া ভুক্তভোগীরা এই ঘটনার বিচার চান। 

গেল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহীর পবা উপজেলার আশরাফের মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মহিলা দলের দুই কর্মী হলেন- নিলুফা ইয়াসমিন ও তার বোন নূরবানু বেগম। অভিযুক্ত জামায়াত কর্মীর নাম নুরুল ইসলাম (৫৫)। পবার রনহাট গ্রামে তার বাড়ি। 

লাঞ্ছিত হওয়ার পর রাতেই ভুক্তভোগী নূরবানু রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দুই বোন ছাড়াও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল হক মিলন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা হাবিবা, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রফেসর আব্দুল রাজ্জাক।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ফেরার পথে নিলুফা ও তার বোন নূরবানুকে জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলাম পেছন থেকে ডাক দেন। তিনি দুজনকে জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে বলেন। এতে রাজি না হলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

ভুক্তভোগী নিলুফা বলেন, নুরুল একপর্যায়ে প্রথমে স্যান্ডেল খুলে মারতে শুরু করে এবং আমার বোনকে ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর নুরুল দৌড়ে এসে আমার পেটে লাথি মারে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করারও দাবি জানান।

এ আসনের বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক বিতর্কের ভেতরেও নাগরিকদের মৌলিক নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে এবং কাউকে হুমকি-ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন করা চলবে না। কেউ জোর-জবরদস্তি করে এক দলের কর্মীদের অন্যদলের হয়ে ভোট চাইতে বাধ্য করতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

জামায়াত কর্মী নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি নাকি নৌকায় ভোট দিয়েছি-এমন কথা বলে বেড়ায়। আরে ২০২৪ সালে নির্বাচনের সময় আমি জেলে ছিলাম। আমি কি করে ভোট দিলাম। আমার নামে আওয়ামী লীগ ৬০টা মামলা দিয়েছে। আর সে (ওই নারী) আমাকে বলে আমি নাকি নৌকায় ভোট দিয়েছি। আমি তাকে একটা থাপ্পর দিয়েছি।’

কাটাখালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, নুরুল ইসলাম জামায়াত কর্মী। এক নেত্রীকে মারধরের বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


আমার বার্তা/এমই