কোস্ট গার্ডের দুই অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার ও শিকারি আটক

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা এলাকায় কোস্ট গার্ডের দুটি পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার, চার জেলে মুক্ত, এবং হরিণের মাংসসহ চার শিকারি আটক করা হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সুন্দরবনের কুখ্যাত দস্যু দুলাভাই বাহিনীর সদস্যরা কয়রা নদীর নাগজোড়া খাল এলাকার জঙ্গলে অবস্থান করছে এবং তাদের কাছে জেলে জিম্মি রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ ডিসেম্বর (রবিবার) রাত ৮টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের সময় ডাকাতরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে এলাকা তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১টি একনলা বন্দুক, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং ডাকাতদের হাতে জিম্মি থাকা ৪ জন জেলে। পরে জেলেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জব্দ অস্ত্রের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।

তিনি আরও বলেন, “সুন্দরবন এলাকায় এখনও কিছু দস্যুচক্র সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছে। জেলেসহ বনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এদিকে আরও একটি পৃথক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৮ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত ২টায় কয়রা নদীর ময়দাপেশা খাল এলাকায় কোস্ট গার্ড আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সন্দেহজনক নৌকা থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় ৭২ কেজি হরিণের মাংস, ২টি হরিণের মাথা, এবং ৩০০ মিটার শিকারি ফাঁদ। এ সময় চার হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।

আটক শিকারিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জব্দ মাংস ও ফাঁদ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন,

“সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখা এবং বন্যপ্রাণী রক্ষায় কোস্ট গার্ড জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। ভবিষ্যতেও জল ও স্থল উভয়মুখী অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোস্ট গার্ডের এসব ধারাবাহিক অভিযান সুন্দরবনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। জেলে ও বনজীবীরা নির্বিঘ্নে কাজে যেতে পারছেন—যা তাদের জীবিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।