ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বহু অপকর্মের হোতা কে এই সোহরাব?
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
কমল চৌধুরী:

ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে কর্মরত এমএলএসএস সোহরাব হোসেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টাফ হলেও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিয়ে ১৫ বছর যাবত নানা রকম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে।তার বর্তমান কর্মস্থল বরিশালে অফিস না করেও সে ঢাকা শহরে অবস্থান করে এবং সময়মতো বেতন ভাতা নিয়ে আসে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পিয়ন মো. সোহরাব হোসেন বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় ফাউন্ডেশন এর জামাত-বিএনপি অনুসারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে এমএলএসএস পদে যোগ দেয়। সে জামাতের অনুসারী ও চাটুকারিতা, দুর্নীতির মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রী মহোদয় ও তাদের পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। সে কখনো মন্ত্রীর নাম, মন্ত্রীর পরিবারের ও প্এিস এর নাম ভাঙ্গিয়ে মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজসে হজ্জ ও ওমরা লাইসেন্স বাণিজ্যের মাধ্যমে নামে বেনামে আর্থিক অনুদানের টাকা আত্মসাৎ, মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগা সংস্কারের নামে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ অনুদানের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে তার এবং তার স্ত্রী, ঝালকাঠি ও ঢাকায় আত্মীয়-স্বজনের নামে আর্থিক অনুদানের টাকা অনুমোদন করিয়ে অনুদান শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সন্তুষ্ট করে সরাসরি চেক সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছে। অনুসন্ধান করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে। বিগত ১৫ বছর ধরে মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করে। সে দম্ভোক্তি করে বলছে, তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। সে টাকা দিয়ে সব কিছু ম্যানেজ করে ফেলবে। তার এই দম্ভোক্তির উৎস কোথায়? দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার জন্য সে ছোট কর্মচারী হয়েও এমন কথা বলার সাহস পাচ্ছে।
সোহরাব হোসেন কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেও ২০১৬ সালে নিজ নামে ৪০ হাজার টাকা অনুদান নিয়ে আত্মসাৎ করে। সে ধানমন্ডি শংকরে কোটি টাকায় কেন ফ্ল্যাটে থাকে। এছাড়া প্রতিবছরের মসজিদ,মন্দির, কবরস্থান,মাদ্রাসা রেজিস্টার তলব করলেও তার অবৈধ রোজগারের সত্যতা পাওয়া যাবে।ঢাকার মিরপুরের উত্তর পীরবাগে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে ১১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করে। ঢাকার ধানমন্ডি থানার শঙ্করে স্ত্রী শাহিনুর বেগমের নামে ফ্ল্যাট কিনে। সাভার থানার আমিনবাজার এলাকার ভাকুর্তা মৌজায় তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও নিজ নামে ৩০ লক্ষ টাকার জমি ক্রয় করে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এমএলএসএস পদে অফিস না করে বেতন গ্রহণ এবং ঢাকা অবস্থানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সে টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বরিশাল জেলা কার্যালয়ে সোহরাবের কর্মস্থল হলেও অফিস না করে ঢাকাতেই অবস্থান করে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্নের উদ্রেক করছে, তার অবৈধ ক্ষমতার উৎস কোথায়? এমএলএসএস সোহরাবের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দুর্ণীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। সে অবৈধ অর্থ দিয়ে সবকিছুকে ম্যানেজ করে ফেলেছে ।এমনিভাবে চলতে থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা এমএলএস এর সোহরাবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও তার দুর্নীতি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন।
আমার বার্তা/এমই