শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন অব্যাহত রয়েছে

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ১৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

দেশের শেয়ারবাজারে অব্যাহত ঢালাও দরপতন চলছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারও (১৪ মে) শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। এতে নয় কার্যদিবসের মধ্যে বাজারটিতে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ে জন্য প্রধান মূল্যসূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু তা আধাঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি। বরং লেনদেনের শেষদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী। ফলে ঢালাও দরপতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় নাম লেখানোর পাশাপাশি বাজারে ক্রেতা সংকটও প্রকট হয়ে উঠে। ফলে কমে যায় লেনদেনের গতি। শেয়ারের দাম কমিয়ে অনেকে লোকসানে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রি করতে ব্যর্থ হন।

দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে মাত্র ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯২টির। ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১৫৩টির দাম কমেছে। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৭০টির দাম কমেছে এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ২১টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ২৯ এপ্রিলের পর বাজারটিতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।

 

আমার বার্তা/এল/এমই