পটুয়াখালীতে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মাছের দাম

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ১১:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও মাছ ধরতে সমুদ্রে নেমেছেন পটুয়াখালীর জেলেরা। এরই মধ্যে জালে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। এতে করে জেলার পাইকারি বাজারগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে চেনা রূপ। হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর বড় বড় মাছের আড়তগুলো।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। ১১ জুন সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর রাতেই জেলেরা মাছ ধরতে সমুদ্রে রওনা দেন। যদিও এখনো গভীর সমুদ্র থেকে অধিকাংশ জেলে ফিরে আসেননি, তবে নদী এবং উপকূলের কাছাকাছি এলাকা থেকে ধরা পড়া মাছ বাজারে আসতে শুরু করেছে।
 

এতে মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে বাজারে। রয়েছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে। তবে গভীর সমুদ্র থেকে জেলেরা ফিরে না আসায় মিলছে না রুপালি ইলিশ। ক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় দাম একটু কমলেও সামুদ্রিক মাছ বেশি মিলছে না। চাষের মাছই বেশি।
 
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সামুদ্রিক মাছ আসতে শুরু করায় চাষের মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। প্রতিকেজি তেলাপিয়া ২৩০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা, নদীর পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তুলার ডাডি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
জেলে আব্দুল জব্বার বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে নদীর পানি গরম হয়ে পড়ছে। যার কারণে বেশিরভাগ মাছ নদীর নীচ তলদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে জালে মাছ ধরা পড়ছে না।
 
আড়তদাররা বলছেন, জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে এখনো না ফিরে আশায় ইলিশের দাম কমছে না। তবে এক সপ্তাহের ভিতর জেলেরা ফিরে আসলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম অনেকটাই কমে যাবে। মাছের আড়তদার জব্বার ফকির বলেন, ‘৫৮ দিন বন্ধ থাকার পরে ১১ তারিখ রাতে জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। এখনো মাছ ধরে ফিরে না আসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ মিলছে না। ট্রলারগুলো ফিরে আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাজারে মাছ মিলবে।’
 
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সফলভাবে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছি। বর্তমানে নদীতে মাছ ধরা পড়ছে। তবে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মাছ তুলনামূলক কম পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং ইলিশসহ অন্যান্য মাছের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে।’

 

আমার বার্তা/এল/এমই