আংশিক রপ্তানিকারকেরা পাবেন বন্ড সুবিধা

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে আংশিক রপ্তানিকারকদের ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে সাময়িক শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বন্ড সেবার সম্পূর্ণ অটোমেশন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে পুরোনো সেবা পদ্ধতি বন্ধ হয়ে যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় এ অগ্রগতির কথা জানানো হয়।

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি, মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, প্রতিযোগিতা মূল্যে পণ্য রপ্তানির সুবিধার্থে আংশিক রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমদানি করা কাঁচামাল ও উপকরণের ওপর প্রযোজ্য শুল্ক ও করের সমপরিমাণ অর্থের শতভাগ ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে শুল্ক বন্ড সুবিধা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ইউডির (ইউটিলাইজেশন ডিকলারেশন) প্রযোজ্যতা শর্তসাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে।

আরও জানানো হয়, বন্ড লাইসেন্সে ঘোষিত এইচএস কোড ও কাস্টমস কর্তৃক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারিত এইচএস কোডের মধ্যে সামান্য অমিল থাকলেও চালান খালাস দেওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো, কাস্টমস নির্ধারিত কোডের প্রথম চার ডিজিট ও বন্ড লাইসেন্সে ঘোষিত কোডের প্রথম চার ডিজিট মিলতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ৩০ দিনের মধ্যে বন্ড লাইসেন্স বা ইউডিতে সংশোধন করার অঙ্গীকারনামা দিতে হবে। এই নির্দেশনা চলমান সব পণ্য চালানের জন্য প্রযোজ্য।

সভায় বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে আরও ৩১টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক চাহিদার ভিত্তিতে আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য বন্ড সুবিধাসহ বিভিন্ন নীতিসহায়তার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছি। সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সুবিধা কার্যকর হলে তৈরি পোশাকবহির্ভূত খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি, বৈচিত্র্যকরণ ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, যৌক্তিক ও বিনিয়োগবান্ধব সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাসের লক্ষ্যে নিজস্ব মূল্যায়ন (সেলফ-অ্যাসেসমেন্ট) ও পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিটের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিজে এ বিষয়ে তদারক করবেন বলে জানান।

আমার বার্তা/এল/এমই