আলু-পেঁয়াজের দাম কমলেও অন্যান্য সবজির দাম বাড়তি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

গত বছর নাগালের বাইরে থাকা আলু-পেঁয়াজের দর খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে চলতি বছরে। ফলন ভালো হওয়ায় বছর ব্যবধানে এই দুই পণ্যে কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে ভোক্তার।
যদিও এইসময়ে দীর্ঘমেয়াদি বর্ষা মৌসুম চাপে রেখেছে অন্যান্য সবজির বাজার। অধিকাংশ সবজি কিনতে গড়ে ২০ টাকা বাড়তি গুণতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সিন্ডিকেট ঠেকিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে শুল্কছাড় ও তদারকি জোরদারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। যাকে সময়োপযোগী বলছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।
২০২৪ সালে সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। কাঁচামরিচ সর্বোচ্চ ২২০ টাকা এবং আলু বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে চলতি বছরের একই সময়ে এসে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা; মরিচ ১৬০ আর আলুর দাম নেমে এসেছে ২৫ টাকায়।
তবে বছর ব্যবধানে এই তিন পণ্যে সাশ্রয় হওয়া অর্থ ভোক্তাকে ব্যয় করতে হয়েছে অন্যান্য সবজি কিনতে। বাজারে বেগুন, ঢেড়স, পটল কিংবা কাঁকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৬০-৮০ টাকায়। গত বছর এসব সবজি পাওয়া গেছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে।
বাজারের এমন দ্বিমুখী আচরণের জন্য আলু-পেঁয়াজের ভালো ফলন আর দীর্ঘমেয়াদি বর্ষা মৌসুম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। পরিস্থিতি সামলাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৩ দফা সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। সুপারিশে পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা ছাড়ালে আমদানি উন্মুক্ত, শুল্ক-কর ছাড়; কাঁচা মরিচের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার এবং সবজির সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় তদারকি জোরদারের পরামর্শ উঠে এসেছে।
ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান। তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচা মরিচের ক্ষেত্রে দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়। এটি স্বাভাবিক বিষয়, সরকার এটি করছেও।
তবে বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে কিছুটা সবজির সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরবরাহ সংকটের অজুহাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য দাম বাড়িয়ে দেয়। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দিলেও ৩ দিন পরই তা বন্ধ করে দেয় সরকার।
আমার বার্তা/এল/এমই