মুন্সীগঞ্জে কেজিতে দাম কমেছে ইলিশের
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বড় ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অবৈধ জালে ব্যাপক ব্যবহার ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। বর্তমানে বাজারে দাপট দেখাচ্ছে সামুদ্রিক ইলিশ।
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম আড়ত। ধলেশ্বরী তীরের এই হাট ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু হয়। হাটে ৪৩টি আড়ত রয়েছে, যা দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।
বৃষ্টিস্নাত শরতের ভোরেই এ হাটের চারিদিকে রুপালি ইলিশের ঝিলিক। হাঁকডাকে বিক্রি হচ্ছে মাছের রাজা ইলিশ। তাই ছুটির দিনে ইলিশের স্বাদ নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। দেড় কেজি ওজনের বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। আর ৪০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, আগে যেখানে বড় ইলিশ ২২০০-২৫০০ টাকায় বিক্রি হত, এখন তা কমে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশ ছাড়াও হাটে উঠেছে রুই, কাতল, চিতল, মৃগেল, আইড়, বোয়াল-পাঙ্গাস এবং সামুদ্রিক হিমায়িত মাছ। বিক্রেতারা জানান, মাছের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ছোট মাছের দামও কেজিতে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ক্রেতারা বলছেন, হাটে পাইকারি দামে মাছ কেনা যায় এবং সামান্য কম দামে মাছ পেয়ে খুশি হয়েছেন।
তবে আড়তদাররা সতর্ক করছেন, অবৈধ জাল ব্যবহার ও ছোট মাছ ধরা পড়ার কারণে নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী হানিফ মিয়া সোহেল বলেন, ‘নদীতে পর্যাপ্ত মাছ নেই। সমুদ্রেও যথেষ্ট ধরা পড়ছে না। চায়না জালের কারণে ছোট মাছ ধরা পড়ায় ইলিশের উৎপাদন কমছে।’
উল্লেখ্য, নদী বেষ্টিত মুন্সীগঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ৩১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে ইলিশের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন।
আমার বার্তা/এল/এমই