মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ অর্থ সুদসহ ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত আনার নির্দেশ

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

পুঁজিবাজারের বিতর্কিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালিত ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ করা অর্থ সুদসহ ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত আনার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সময়ের মধ্যে বিনয়োগ করা অর্থ সুদসহ ফেরত আনতে ব্যর্থ হলে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং দুই পরিচালককে মোট ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৭৮তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
 
বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠাটির পরিচালনায় থাকা ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানটির সিইও এবং প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকে উল্লিখিত বিনিয়োগের অর্থ সুদসহ ৯০ কোটি টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ফান্ডগুলোতে ফেরত আনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
 
বিএসইসি আরও জানিয়েছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ফান্ডগুলোতে অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ হলে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ও সিইও রিয়াজ ইসলামকে ৯৮ কোটি টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক জর্জ এম স্টক থ্রিকে ১ কোটি টাকা, পরিচালক রেজাউর রেহমান সোহাগকে ১ কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
 
এদিকে, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডে বিনিয়োগ ও কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের মূলধন ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় অনৈতিক যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোয়েস্ট বিডিসি (সাবেক পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার) লিমিটেডের কার্যক্রম পরিচালনায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পায় বিএসইসির গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি। পরে কমিটি কোম্পানির পরিচালক এবং এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম এবং সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে।
 
সেই সুপারিশের আলোকে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও রিয়াজ ইসলামকে পুঁজিবাজারের সব কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলো।

আমার বার্তা/এল/এমই