হোল্ডিং ট্যাক্স সংগ্রহ ডিজিটালাইজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

কোটি কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়ায় অবশেষে হোল্ডিং ট্যাক্স সংগ্রহ ডিজিটালাইজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম নগরীর ৭০ লাখ বাসিন্দা ঘরে বসেই দিতে পারবেন গৃহকর। ফাঁকি রোধের পাশাপাশি বাড়বে রাজস্ব। কমবে বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ।

৬০ বর্গমাইলের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হোল্ডিং আছে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮১৫টি। তবে গৃহকর ফাঁকিসহ নানা প্রতারণায় ব্যাহত হয় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা। ফিল্ড বুক ঘষামাজা করে পাঁচ বছর আগে দুটি প্রতিষ্ঠান ৪০ কোটি টাকা গৃহকর ফাঁকির পর সম্প্রতি তদন্তেও নামে দুদক।
 
এমন বাস্তবাতায় কর ফাঁকি ও দুর্নীতি ঠেকাতে ম্যানুয়াল থেকে বেরিয়ে বাণিজ্যিক হোল্ডিং ট্যাক্স সংগ্রহ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বি-ট্র্যাক সলিউসন ও মাইলেজের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। ফলে রাজস্ব আদায় বাড়ার পাশাপাশি বন্ধ হবে নানা কারসাজি ও প্রতারণা।
 
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতিকে ধীরে ধীরে শূন্যের পর্যায়ে আনা আমাদের লক্ষ্য। বিভিন্ন হোল্ডিং ট্যাক্সকে ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে আমরা এটিকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
 
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সরওয়ার কামাল বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন হলে আমরা কত টাকা পাব, তা আগে থেকেই জানার সুযোগ পাব। এখন যেসব ইনফিলে ট্যাক্স আসে না, সেগুলোও তখন সংগ্রহযোগ্য হবে।’
 
অনলাইন পদ্ধতিতে গ্রাহককে পড়তে হবে না বিড়ম্বনায়। ঘরে বসেই প্রদান করতে পারবেন হোল্ডিং ট্যাক্স। কমবে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা। এ সিস্টেম হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। বি-ট্র্যাক সলিউসনসের সিইও তানভির সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা ট্যাক্স প্রদান করছেন, তাদের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট থাকবে। এই পোর্টালে লগইন করে তারা দেখতে পারবেন কত ট্যাক্স দিয়েছেন, সামনের ট্যাক্স ইয়ারে কত ট্যাক্স বাকি রয়েছে বা কত ট্যাক্স পরবে। ট্যাক্স পেমেন্টের ডেডলাইনও জানা যাবে। এছাড়া যেহেতু আমাদের যেহেতু একটি ব্যাংক যুক্ত আছে, তাই পুরো পেমেন্ট অনলাইনে করা সম্ভব হবে।’
 
উল্লেখ্য, প্রথম দিকে বাণিজ্যিক হলেও ইবিএলের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুই লাখের বেশি আবাসিক গ্রাহকরাও অনলাইন সেবার আওতায় আসবেন।

আমার বার্তা/এল/এমই