পর্দা নামলো ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব’-এর ৩য় আসরের

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

সারাদেশ থেকে সেরা খুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞান প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে শেষ হলো ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব’ এর তৃতীয় আসর। 

জাতীয় পর্বে ‘দ্য সল্টিং আউট’ নামের একটি প্রজেক্ট বানিয়ে দেশসেরা হয়েছে বিএএফ শাহীন কলেজের আরীব বিন ফারুক ও সাইম ইবনে সারওয়ার। একইভাবে ‘পোকেডেক্স : দ্য আল্টিমেট অ্যাডভান্সড এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট’ প্রজেক্ট বানিয়ে দ্বিতীয় সেরা হয়েছে বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলের এস এম সাইফান শাফি এবং ‘ক্লাইমাকোর’ নামের একটি প্রজেক্ট বানিয়ে তৃতীয় সেরার পুরস্কার জিতে নেয় সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষার্থী রায়িন আর রাদ। চূড়ান্ত পর্বে মোট ৭০টি প্রজেক্ট থেকে ১৫টি সেরা প্রজেক্টকে পুরস্কৃত করা হয়।

বিজ্ঞান প্রজেক্টে প্রথম তিনটি গ্রুপকে বিকাশ-এর সৌজন্যে ল্যাপটপ এবং কুইজের দুই ক্যাটাগরিতে সেরাদের বিজ্ঞানচিন্তার সৌজন্যে ট্যাব ও বিকাশ-এর পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও বিজয়ী দলগুলোর হাতে পুরস্কার হিসেবে বই, ট্রফি, মেডেল ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার লিও জেমস পেরেরা, বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম; আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য মো. আশরাফুল হক, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফিজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন; এবং বিকাশ-এর পক্ষে ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ূন কবীর ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান।

এবারের উৎসবের কুইজ প্রতিযোগিতায় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে সেরাদের সেরা হয়েছে ঢাকার পারমাণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ইরাম মাহমুদ রুহান। মাধ্যমিক পর্যায়ে সেরাদের সেরা হয়েছে রংপুর জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. ফাহিম ফয়সাল। আর বিশেষ কুইজে প্রথম হয়েছে ঢাকার চ্যাম্পিয়ন একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্র তানভির হোসেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক-উভয় পর্যায়ে ১৫ জন করে মোট ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা বিশেষ কুইজে পুরস্কৃত করা হয় ১৪ জনকে। 

এর আগে, সকালে বেলুন ও পতাকা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করে রোবট ‘নাও’। এরপরই সারাদেশের সেরা সব শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উদ্বাবনী প্রকল্প- ‘অ্যাকুয়াপনিক্স, ‘স্মার্ট হোম অ্যান্ড লাইফ সিকিউরিটি’, ’বাংলা ইন্টারঅ্যাকটিভ এআই মডেল’, ‘স্মার্ট ব্লাইন্ড স্টিক’, ‘স্মার্ট ব্রিজ, ‘টার্নিং ওয়েস্টেড ওয়েল ইনটু বায়োডিজেল’ সহ চমৎকার সব প্রজেক্ট উপস্থাপনা করেন। কয়েক ধাপে যাচাই-বাছাই শেষে সেরা প্রজেক্টগুলো নির্বাচিত করা হয়।


আমার বার্তা/জেএইচ