চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যাংক আমানতের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এতে দেখা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে টানা দুই মাস আমানতের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। 

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আমানত বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ০২ শতাংশ যা ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই প্রবৃদ্ধি দীর্ঘ স্থবিরতার পর ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দেয়। আগস্টের আগে টানা ১৩ মাস আমানতের প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশের নিচে ছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে এটি ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে ওঠে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি সামান্য কম হলেও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি গত ১৬ মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি। ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে ব্যাংক আমানতের সুদের হার সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ হওয়ায় আমানতের প্রকৃত সুদের হার পজিটিভ। তাছাড়া সেপ্টেম্বরে ট্রেজারি বিল বন্ডের সুদের হার কমতে শুরু করে। ফলে অনেক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বিল বন্ডের বদলে ব্যাংকে আমানত রাখতে শুরু করে। এতে আমানত বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের আমানত দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ১৭ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর কয়েকটি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর ঐ ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আবারও ঐ ব্যাংকগুলো টাকা ফিরতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ব্যাংকগুলোতে আমাতন বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা টাকা কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার কোটি। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকা কমেছে ৮ হাজার ৮২৯ কোটি।

আমার বার্তা/এল/এমই