যশোরের বেনাপোল: বাণিজ্যে ১২ কোটি, ভ্রমণে ১৬ লাখ টাকা
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৩৭২ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এবং ১৭৮৫ জন পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেছেন। এ সময় বাণিজ্য খাতে সরকারের প্রায় ১২ কোটি টাকা এবং ভ্রমণ খাতে প্রায় ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভিসা জটিলতায় পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমে গেছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পলাশ হোসেন বেনাপোল রুটে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, রোববার বাংলাদেশি ১০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকা মিলেছে ৭২.৫০ রুপি এবং ভারতীয় ১০০ টাকায় বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গেছে ১৩৪ টাকা। প্রতি ইউএস ডলারের ক্রয় মূল্য ছিল ১২৫.৫০ টাকা এবং বিক্রয় মূল্য ১২৬.৫০ টাকা।
বন্দরের তথ্য মতে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। শনিবার দিনভর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৩১ ট্রাক পণ্য। আমদানি পণ্যের মধ্যে ছিল শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, শিশু খাদ্য, মেশিনারিজ দ্রব্য, অক্সিজেন, বিভিন্ন প্রকারে ফল, চাল, পেঁয়াজ, মাছসহ বিভিন্ন পণ্য। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ১৪১ ট্রাক পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখ্য ছিল: বসুন্ধরা টিসু, মেলামাইন, কেমিকেল মাছ ও ওয়ালটন পণ্যসামগ্রী।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ ট্রাক পণ্যের বাণিজ্য হতো। তবে পরে দুই দেশের একের পর এক বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধের নিচে কমে এসেছে। এক বছর ধরে বন্ধ দুই দেশের বাণিজ্য বৈঠক। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের বিড়ম্বনা ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাণিজ্যের পরিবেশ ফেরাতে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় বেশ কয়েকটি বন্দরের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বসে বসে কর্মচারীরা বেতন, ভাতা নিচ্ছেন। কিন্তু কোনো ধরনের আমদানি-রফতানি হয় না। এসব বন্দর অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক চাহিদার গুরুত্ব বিবেচনা করা হয়নি।’
ইমিগ্রেশন তথ্য মতে, প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয় পাসপোর্টধারী যাতায়াত। রোববার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে মোট যাতায়াত করেছে ১৭৮৫ জন। এদের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছেন ৮৩১ জন। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৪৭৮ জন, ভারতীয় ৩৫২ জন ও অনান্য দেশের নাগরিক একজন। অপর দিকে ভারত থেকে ফিরেছেন ৯৫৪ জন। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ৬৫৭ জন, ভারতীয় ২৯৫ জন ও অনান্য দেশের নাগরিক দুজন।
এ দিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২০ অক্টোবর রেলপথে ভারত থেকে ১০০টি ট্রাক্টর আমদানি হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
