লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণে এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে সরকারের চুক্তি
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং ৩০ বছরের জন্য এটি পরিচালনার দায়িত্ব পেল ডেনমার্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। এ প্রতিষ্ঠানটি এপি মোলার মায়ের্স্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এ টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এপিএম টার্মিনালস এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তিতে সই করেন এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গ্যান্ডলোসে হ্যানসেন, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং মার্স্ক বোর্ড চেয়ারম্যান রবার্ট মার্স্ক উগলা।
লালদিয়া টার্মিনাল ২০২৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী, এপিএম টার্মিনালসই টার্মিনালটির নকশা, অর্থায়ন, নির্মাণ এবং পরবর্তী ৩০ বছর পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এ বিনিয়োগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। পার্টিকুলারলি তাদের জন্য যারা ৪ আগস্ট রক্ত দিয়েছে। যারা জীবন দিয়েছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য, এটা তাদের জন্য। এই প্রকল্প যখন শেষ হবে তখন অনেক তরুণের কর্মসংস্থান হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট ছাড়াও মংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো কাজ চলছে। মংলাতেও বিনিয়োগ আসছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা মেরিটাইম পোর্ট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করছি, যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। আমরা আশা করছি, এটা আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করবে।’
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে চারটি নতুন সমুদ্রবন্দর, যার মধ্যে রয়েছে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর, একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল এবং একটি ডেডিকেটেড ফ্রি ট্রেড জোন।’
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুরুর দিকেই ডেনমার্ক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত পাঁচ দশকে দুই দেশের উন্নয়ন সহযোগিতা সফলভাবে এগিয়েছে। আজ আমাদের সম্পর্ক সহায়তা থেকে ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। মাথাপিছু ভিত্তিতে ডেনমার্ক বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বড় রপ্তানি গন্তব্য।’
আমার বার্তা/এমই
