
শত কোটি টাকার দেশীয় বাজার ও বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজার থাকা সত্ত্বেও সরকারি-বেসরকারি পরিকল্পনা, গবেষণা, ডিজাইন উন্নয়ন এবং নীতিগত সহায়তার অভাবে বাংলাদেশের হস্তশিল্পের বিকাশ হচ্ছে না।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের হস্তশিল্পের বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব মতামত দেন।
কর্মশালায় বলা হয়, স্থানীয়ভাবে ১০–১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার এবং বৈশ্বিকভাবে ১,১০৭.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এখনো ১ শতাংশেরও কম। ফলে বাজার সম্প্রসারণ, ডিজাইনে উদ্ভাবন, রপ্তানি সহজীকরণ ও বিশেষ নীতিগত সহায়তা ছাড়া উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয়।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। হস্তশিল্প খাতের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান।
উপস্থাপনায় জানানো হয়—দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার কারিগর হস্তশিল্প উৎপাদনে যুক্ত, যার ৫৬ শতাংশই নারী। উৎপাদনের ৯৫.৮ শতাংশ গৃহভিত্তিক, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে হস্তশিল্প রপ্তানি হয়েছে ২৯.৭৫ মিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক বাজার প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে এবং ২০৩২ সালে পৌঁছাবে ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে।
বক্তারা উল্লেখ করেন, নকশিকাঁথা, জামদানি, পাটপণ্য, বাঁশ-বেত, মাটির সামগ্রীসহ দেশীয় হস্তশিল্পের প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজার। দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারের ফলে এসব পণ্যে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন সম্ভব হয়।
হস্তশিল্প শিল্পকে শক্তিশালী করতে বক্তারা যেসব পদক্ষেপের সুপারিশ করেন। যার মধ্যে রয়েছে-সহজ শর্তে অর্থায়ন, সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরণ। কারুকেন্দ্র/ডিজাইন সেন্টার স্থাপন, ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস ও ই-কমার্স সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক মান ও সার্টিফিকেশন জোরদার, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ এবং রপ্তানি প্রচারণা ও নীতিগত প্রণোদনা।
আমার বার্তা/এল/এমই

