সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ১৭:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত “সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি” গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা সরকার কর্তৃক মেনে নেওয়া ছয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (১৯ মে) কলেজের ছাত্র সংসদের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা দাবি করে তারা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে "তিতুমীর ঐক্য"। লিখিত বক্তব্য পাঠা করেন ঐক্যের উপদেষ্টা সদস্য আলী আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, নায়েক নূর মোহাম্মদ, রায়হান, তাবাসসুম সুরাইয়া প্রমুখ।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়- জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হাজারো ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। যেখানে তিতুমীর কলেজের শহীদ মামুন জীবন দিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে গঠিত সরকারের কাছেই আমরা কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি নতুন করে উপস্থাপন করেছি।

তারা জানান- ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ৯৪ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা এবং জাতীয় শিক্ষা খাতে এর সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়। যদিও প্রতিবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছিল, পরে সেটি হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের মতে শিশুসুলভ ও দায়িত্বহীন আচরণ। পরে ৩ ডিসেম্বর একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট যাচাই কমিটি গঠিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। উল্টো ২৯ ডিসেম্বর তিতুমীর কলেজসহ বাকি ছয় কলেজকে একত্র করে আরেকটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়, যা শিক্ষার্থীরা “প্রহসন” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তারা আরও জানান- রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান রেখে এই নতুন কমিটিতেও তারা অংশগ্রহণ করেন এবং ৯ জানুয়ারি ইউজিসিতে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তিসহ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারি সাত দফার ছয়টি দাবি মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

শিক্ষার্থীদের মতে- তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামক একটি বিকল্প প্রস্তাব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তারা এটিকে রাষ্ট্র ও শিক্ষা সিন্ডিকেটের প্রেসক্রিপশন হিসেবে অভিহিত করে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।

 

আমার বার্তা/এল/এমই