জাতীয়করণ হওয়া সরকারিকৃত স্কুল শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

জাতীয়করণ হওয়া সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেছেন। একইসঙ্গে বিদ্যালয়গুলোতে বেতন সুরক্ষা ও গ্রেডেশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং বদলির সুযোগ সীমিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সরকারিকৃত মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪’র কিছু অসংগতি সংশোধন ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে সরকারিকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণীত হয়েছে। তবে, বিধিমালায় এখনও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অসংগতি রয়ে গেছে, যা শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে এক স্মারক ও একই দিনে বিদ্যালয় সরকারীকরণ এবং এডহক নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণে বৈষম্য লক্ষ করা যাচ্ছে।

সংগঠনটির সভাপতি ছিদ্দিক আহম্মেদ দাবি করেন, এখন পর্যন্ত ৩৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই এডহক নিয়োগ পেয়েছে। এই শিক্ষকদের মধ্যে মাত্র ৪২টি স্কুল বেতন সুরক্ষা সুবিধা পেয়েছে এবং ৫টি স্কুল ও কলেজকে বেতন সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও সিজিএ অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাকী বিদ্যালয়গুলো এখনও এই সুবিধার বাইরে রয়েছে, যা শিক্ষকদের মধ্যে অসাম্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা চালু থাকলেও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ‘আত্তীকরণ বিধিমালা-২০২৪’র ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী বদলির অধিকার বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় ভবিষ্যতে কারিগরি শিক্ষা প্রসারে বাধা সৃষ্টি হবে।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে—

১. আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪-এর ১০ নম্বর ধারা সংশোধন করে পে-প্রোটেকশন নিশ্চিত করতে হবে। 

২. কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পদোন্নতি দেওয়া।

৩. আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪-এর বৈষম্যমূলক ১৩ নম্বর ধারা বাতিল করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে৷

৪. কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে আত্তীকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৫. সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ব্লক পোস্ট ধারণা বাতিল করতে হবে। 

৬. আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪-এর ৫(৩) নম্বর বৈষম্য সৃষ্টিকারী ধারা বাতিল করতে হবে।

আমার বার্তা/এল/এমই