শাহবাগে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধিত শিক্ষকদের
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সীমাহীন দূর্নীতি এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা দীপু মনি ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল এর যোগসাজশে ১ম -১২তম নিবন্ধন সনদ ধারীদের সাথে চরম নির্লজ্জ বৈষম্য করা হয়েছে।
নিবন্ধন সনদ ধারীদের তথ্য মতে,
১)একজন এর সনদ অন্য জন ব্যবহার করে চাকরি করছেন।
২) ২লক্ষ টাকায় সনদ এবং ৬/৮ লক্ষ টাকায় চাকরি দিয়েছেন। ৬০ হাজার জাল সনদ ধারী নিয়োগ পেয়েছে। অথচ বৈধ সনদ ধারী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। এতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি হয়েছে।
৩) এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ড্রাইভার জিয়ার ৫০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। সিস্টেম এনালিস্ট রাসেল কানাডায় বাড়ি গাড়ি করে কানাডায় অবস্থান করছে।
৪)দরখাস্ত করেছে একই প্রতিষ্ঠানে ২/৩ বার, যারা দরখাস্ত করেছে তাদের চাকরি না দিয়ে বলা হয়েছে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায়নি। যারা আবেদন করেছে তারা কি যোগ্য নয়।
৫)আবেদনই করে নাই অথচ নরসিংদী জেলায় পলাশ থানাধীন খুদি মাহমুদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর শ্যালিকা রাবেয়া সুলতানা কে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
৬) ৩৫ বছরের বেশি বয়স হলে চাকরি দেওয়া যাবে না। অথচ ৩৫ এর বেশি বয়সের ৪৪০ জনকে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৭)এই পরীক্ষা চাকরির সুনিশ্চিত নিয়োগের জন্য। কিন্তু তারা একাডেমিক সনদ বলে। যাহা সম্পূর্ণ অমূলক।
৮)মুখে বলে ৫৪ হাজার, প্রকৃত নিয়োগ দেয় ১২ হাজার। কখনও বলে ৮৭ হাজার, নিয়োগ দেয় ২৫ হাজার। আবার কখনও ৯৬ হাজার নিয়োগ দেয় ১৯৫৮৬ জন। শুধু অশুভংকরের ফাঁকি।
৯) ১২ জুন ২০১৮ সালের আগে যারা পাস করেছি তাদের বয়সের সীমা থাকবে না।সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে।
১০) রিভিউ ৫৪/২১ নং মামলা দেরি করে করার জন্য মামলা খারিজ করে দিয়েছে আমাদের পক্ষে ।
১১) সংসদে শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল স্যার বলেছেন ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১টা বিঞ্জপ্তি দিয়ে মাত্র ১৯৫৮৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের ৭ হাজার অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে বদলী হয়েছে।
১২)ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বনপাড়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ সহ ৭০ জন শিক্ষক এর মধ্যে ৫০ জনের সনদই জাল।এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এমপি আব্দুল আওয়ালের স্ত্রীর নিবন্ধন সনদ সহ একাডেমিক সনদও জাল।যাহা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয় ডিআইএ নির্লজ্জভাবে ভুয়া সনদধারী দের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে যে মানবিক বিবেচনায় তাদের নিয়োগের বৈধতা দিতে সুপারিশ করেছে। তাহলে আমাদের প্রতি এত নিষ্ঠুর কেন?
১৩)২০২৪ সালে ৩০ জুলাই সরকার জোর করে আদালত এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে রায় সরকার পক্ষে নিয়ে নেয় ।
উপরোক্ত বিষয়গুলি নিয়ে নানান কর্মসূচি পালন করেছেন নিবন্ধনধারীরা,বিভিন্ন সময়ে সচিবদের সাথে আলোচনা করেছেন,যার প্রমান,১২ই আগষ্ট, ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ,১৭ অক্টোবর, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ এবং ১১ফেব্রুয়ারী ২০২৫ এই ৫ বার।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার এপিএস জনাব সাব্বির আহমেদ স্যার, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষে বরাদ হোসেন চৌধুরী স্যার ওয়াদা করেছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সমাধানের নিমিত্তে সব রকম ব্যবস্থা নিবেন। অথচ আজও আলোর মুখ দেখেননি নিবন্ধনধারীরা। এই কারণে দায়িত্বশীল পর্যায়ের ওয়াদা অবিলম্বে প্রতিপালন করতে হবে।
এই লক্ষ্যে আমরা বৈধ সনদ ধারী দের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান নিবন্ধনধারীরা। শিক্ষকগণ আশা করেন, সেই সাক্ষাৎ এর মাধ্যমে সকল বৈষম্য দূরীকরণ ও নিয়োগের ক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার নিরসন সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ ।
যতক্ষণ পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৯ নভেম্বর ২৫ ইং তারিখ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে শাহবাগ মোড়েই রাত্রিযাপন সহ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে চলবে বলে জানিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।
আমার বার্তা/এল/এমই
