সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত ১-১২ তম নিবন্ধিত শিক্ষকগণ

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গত ৯ই নভেম্বর ২০২৫ ইং শ থেকে ১ম থেকে ১২ তম নিবন্ধন ধারীরা ঢাকার শাহবাগে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনরত নিবন্ধন ধারীরা বর্তমানে এনটিআরসিএ এর কর্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনের ফলে এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠান।

তারা ৯ ই নভেম্বর থেকে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করে এবং রাত্রি যাপন করেন। শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া ও রমনা জোনের পুলিশের ডিসি মাসুদ আলমের নেতৃত্বে এনটিআরসিএ এর অফিসে এক আলোচনায় বসেন তাঁরা। দীর্ঘ সময় আলোচনার পরে এনটিআরসিএ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী ১ম থেকে ১২ তম নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন ধারীদের ব্যাপারে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ে দেন।

এনটিআরসিএ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর স্বাক্ষর ২১-৪৯৫ স্মরকের এই চিঠিতে বলা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান  পরবর্তী সময়ে ১-১২ তম নিবন্ধনধারী নিয়োগ সুপারিশের দাবিতে শাহবাগ চত্ত্বর, প্রেসক্লাব ও এনটিআরসিএ এর কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে অফিস কাজের বিঘ্ন ঘটাছে ও কার্যালয়ের গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দাপ্তরিক কাজের বিঘ্ন ঘটানোসহ ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া ও রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদ আলম এনটিআরসিএ এর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন তাদের ব্যাপারটি সমাধানের। তাদের অনুরোধে ও প্রার্থীগণের সাথে আলোচনা করলে তাঁরা নিয়োগ বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। আলোচনায় ১-১২ তম ব্যাচের ফলাফল যেদিন প্রকাশ হয়েছে, সেদিন থেকে ৩৫ বছর ধরে বয়স নির্ধারণ করে একটি বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবী জানায়। 
এছাড়া এনটিআরসি এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এটি তো আরো উল্লেখ করেন যে, ১-১২ তম নিবন্ধনধরী প্রার্থীগণের দাবি অনুযায়ী বিশেষ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ প্রদানে এনটিআরসি এর এখতিয়ার নেই। 

এমতবস্থায়, বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ১-১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা যে তারিখে প্রত্যায়ন অর্জন করেছে, সেই তারিখে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করে যদি কোন প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়, তবে ১-১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের দাবিকৃত দীর্ঘদিনের সমস্যাটি সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিষয়টি সমাধানের জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন। 

আজকে একজন যুগ্ন সচিবের সাথে মুঠোফোনে এ চিঠির ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, এনটিআরসিএ তো চিঠি দিয়েছেন কিন্তু তাঁরা সেখানে বলেননি কোন আইনী প্রক্রয়ায় তাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে? আমরা তাদের নিকট এই চিঠির ভিত্তিতে একটা চিঠি প্রদান করব। সেখানে উল্লেখ থাকবে তাদেরকে নিয়োগ দিলে কোন আইনি বাঁধা থাকবে কি না অথবা কোন আইনে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

আমার বার্তা/এল/এমই