বিনা খরচে টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু, পেতে যা করতে হবে

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে ডিএনসিসির সংবাদ সম্মেলন।

টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ (প্রায় ১৩ লাখ) শিশুকে টিকা দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ বুধবার দুপুরে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এই দিনগুলোতে (সরকারি ছুটি ছাড়া) প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টিকা গ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছে ডিএনসিসি। এ ছাড়া ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চল ভাগ করে ৬৬৬টি কেন্দ্রে মাসব্যাপী ২ হাজার ১৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন এবং কমিউনিটির প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জনকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু বিনা মূল্যে এক ডোজ করে টাইফয়েড টিকা পাবে।

জন্মনিবন্ধন না থাকলেও টিকা দেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, বাধ্যতামূলক জন্মনিবন্ধন থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কারও যদি নিবন্ধন না থাকে তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া যাবে। তবে টিকা গ্রহণের জন্য অবশ্যই www.vaxepi.govt.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী বলেন, নবম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থীর বয়স ১৫ বছরের বেশি হতে পারে। রেজিস্ট্রেশন করলে তারাও টিকা পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে টিকা গ্রহণের আগে ও পরে করণীয় সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, টিকা গ্রহণের আগে সকালের নাশতা খেয়ে আসতে হবে, অর্থাৎ খালি পেটে টিকা নেওয়া যাবে না। টিকা গ্রহণের পর অন্তত ৩০ মিনিট টিকাদান কেন্দ্রে বসে থাকতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এই টিকা নতুন হলেও অন্যান্য টিকার মতোই সামান্য প্রতিক্রিয়া, যেমন— টিকা দেওয়ার স্থানে চামড়া লাল হওয়া, সামান্য ব্যথা, অল্প জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, যেগুলো এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফিরোজ আলম।


আমার বার্তা/এমই