সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে ব্লিঙ্কেনকে সতর্ক করেছে চীন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের সমাধান করার জন্য ‘সম্পর্কের অবনতি’ ঠেকানোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
বেইজিংয়ে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ক্ষমতাধর এই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করার সময় এই আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি চীনের রাজধানীর প্রাচীন উদ্যানের দিয়াওইউতাইয়ে রাষ্ট্রীয় গেস্টহাউসে ব্লিঙ্কেনকে অভ্যর্থনা জানান।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্কের অগ্রগতির আশা প্রকাশ করে ব্রিঙ্কেন বলেন, তিনি সরাসরি মত-পার্থক্যের বিষয়গুলো উত্থাপন করবেন। এসবের মধ্যে রাশিয়া, তাইওয়ান এবং বাণিজ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, নভেম্বরে এক শীর্ষ সম্মেলনে নেতা জো বাইডেন এবং শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল হতে শুরু করে। কিন্তু একই সময়ে সম্পর্কের নেতিবাচক বিভিন্ন বিষয় এখনো বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে।’
ওয়াং বলেন, দু’দেশের মধ্যে ‘সম্পর্ক বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনের বৈধ উন্নয়ন অধিকার অযৌক্তিকভাবে দমন করা হচ্ছে এবং আমাদের মূল স্বার্থ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’
এর আগে ব্লিঙ্কেনের সহযোগীরা বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনসহ বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয় সমাধান করবেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছরে তারা দ্রুততার সাথে তাদের সামরিক ঘাঁটি পুনঃনির্মাণ করেছে।
ওয়াংয়েরর সাথে বৈঠক শুরু করার সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, এসব ক্ষেত্রে তিনি ‘খুব স্পষ্ট এবং খুব সরাসরি কথা বলবেন। এটি আমাদের দুই দেশের সামনে একটি প্রধান প্রশ্ন এবং আমাদের আন্তরিকতা এবং সক্ষমতার পরীক্ষা।’
তিনি আরো বলেন,‘আমাদের প্রেসিডেন্টরা যে সব বিষয়ে সম্মত হয়েছেন সে সব বিষয় আমরা কিছুটা এগিয়ে নেব বলে আমরা আশা করছি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, দুই দেশের ‘যে ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের মতভেদ আছে সে গুলো ব্যাপারে যতটা সম্ভব পরিষ্কার হওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আমাদের এমনটা করা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা কেবলমাত্র আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য এমনটা করা দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতার সাথে এগিয়ে যাবে নাকি নিম্নগামী সম্পর্কের দিকে ফিরে যাবে সে বিষয়টি অনেকটার নির্ধারিত হতে চলেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশে ব্লিঙ্কেনের এটি দ্বিতীয় সফর।
আমার বার্তা/জেএইচ