ভারত ইট মারলে আমরা পাথর ছুড়ব, কঠোর হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি ও কূটনৈতিক তৎপরতা।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কড়া বার্তা দিয়েছেন নয়াদিল্লিকে। তিনি বলেন, ‘ভারত যদি একটি ইট ছুড়ে, আমরা জবাবে ছুড়ব পাথর।’  মঙ্গলবার সিনেটে বক্তব্যকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর জিও নিউজের।

ইসহাক দারের দাবি, পহেলগাঁওয়ের হামলার ঘটনাকে ভিত্তি করে ভারত ‘সাজানো নাটক’ তৈরি করছে। এর মাধ্যমে তারা ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের পথ খুঁজছে। তবে পাকিস্তান এই চুক্তি বাতিল মেনে নেবে না বলে জানান তিনি। বলেন, ‘ভারত একতরফাভাবে এই চুক্তি বাতিল করতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে চীন ও তুরস্ক, আমাদের পাশে রয়েছে।’

এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ রয়টার্সকে বলেন, ভারতের তরফে পাকিস্তানে হামলা 'আসন্ন' এবং ইসলামাবাদ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দ্বিধা থাকবে না।’

ভারতের পক্ষেও এসেছে কড়া বার্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। মোদি বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন, কবে, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হবে, সে সিদ্ধান্ত তারাই নেবে বলে জানান।

এনডিটিভি বলছে, বৈঠকে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনই ভারতের জাতীয় সংকল্প। কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে জবাব আসছে শিগগিরই।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। এমন গোয়েন্দা তথ্যও পেয়েছে ইসলামাবাদ।

বুধবার মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে ওই কমিটির সঙ্গে আলোচনায় সীমান্ত বন্ধ, সিন্ধু চুক্তি বাতিলসহ পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর থেকেই একে অপরকে দোষারোপ করছে দুই প্রতিবেশী দেশ। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক মহল।


আমার বার্তা/জেএইচ