পাকিস্তানের কেচ ও জিয়ারাতে সেনা অভিযানে নিহত ১০ সন্ত্রাসী
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের কেচ ও জিয়ারাত জেলায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে অন্তত ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
বুধবার সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত সোম ও মঙ্গলবার এই দুই জেলায় অভিযান চলানো হয়েছে উল্লেখ করে আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেলুচিস্তানের কেচ ও জিয়ারাত জেলায় সফল অভিযান চালিয়েছেন সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কেচ জেলার ৩ জন এবং জিয়ারাত জেলার ৭ জন খারিজি (সন্ত্রাসী)-কে নরকে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ রয়েছে।”
নিহতদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে উল্লেখ করে আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় দৈনিক ডনকে জানিয়েছেন, কেচ জেলার অভিযান তুলনামূলকভাবে নির্বিঘ্ন হলেও জিয়ারাত জেলার অভিযান বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।
“জিয়ারাতের চোতির এলাকায় অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেডও ছুড়েছিল সন্ত্রাসীরা”, ডনকে বলেন ওই সেনা কর্মকর্তা।
পাকিস্তানের চার প্রদেশ ও তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান— এ দু’টি প্রদেশে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হামলার নাটকীয় উল্লম্ফন ঘটেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া মূলত পাকিস্তানপন্থি তালেবানগোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি অঞ্চল। অন্যদিকে বেলুচিস্তানে ব্যাপকভাবে তৎপর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)।
এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৫ জন সেনা এবং ৯২৭ জন বেসমরিক মানুষ। বিপরীতে গত বছর সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী।
আমার বার্তা/এল/এমই