ইসরায়েলের হামলায় আরও কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১০:১০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েল বাহিনীর একের পর এক হামলায় আরও কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছের আরও শতাধিক মানুষ।
বুধবার (২ জুলাই) গাজার মেডিকেল সূত্রগুলোর বরাক দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার হামলার ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক ছিল গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত খাদ্যসাহায্য কেন্দ্রে হামলা। সেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়ের মধ্যে ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হন।
জিএইচএফ-এর অধীনে গত মে মাসের শেষ থেকে সীমিত সাহায্য বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকে, প্রতিদিনই এরকম সহিংস হামলায় প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর তাই ১৭০টির বেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও এনজিও এক যৌথ বিবৃতিতে জিএইচএফ বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
তারা বলেছে, গাজার মানুষ এখন দুটি ভয়াবহ বিকল্পের মুখে- ক্ষুধায় মারা যাওয়া অথবা গুলির ঝুঁকি নিয়ে খাবার সংগ্রহ করা”। বিবৃতিতে আরও বলা হয়: জিএইচএফ গাজার মানুষের জন্য কেবল ক্ষুধা ও গুলিবর্ষণই নিয়ে এসেছে।
এদিকে ইসরায়েলের সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটিতে পুনরায় হামলা শুরু করেছে। এখানে কিছুদিন আগেই বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শহরের এক স্থানে ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার হামলায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হন।
জাতিসংঘের মতে, এখন গাজার ৮২ শতাংশ এলাকা হয় ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে, নয়তো জবরদস্তিমূলক উচ্ছেদের হুমকির মধ্যে রয়েছে। গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় বসবাসকারী ইসমাইল বলেন, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষ রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে বাস করছে। কোথাও জায়গা নেই।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির জন্য “প্রয়োজনীয় শর্ত” মেনে নিতে সম্মত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মঙ্গলবার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের সঙ্গে মিলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবে এবং হামাসকেও এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আমার বার্তা/জেএইচ