মাটির নিচের ইউরেনিয়াম ইরান উদ্ধার করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসরাইল

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:০৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরানের ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনার মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ইরান উদ্ধার করতে পারবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা।

গত মাসে ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। জবাবে ইসরাইলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র শুরু করে ইরান। একপর্যায়ে ইসরাইলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
 
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকান সেনাবাহিনীর হামলায় ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে গেছে। যদিও কিছু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর মধ্যেই একজন জ্যেষ্ঠ ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, ভূগর্ভস্থ চাপা ইউরেনিয়াম উদ্ধার করতে পারে ইরান।
 
বুধবার (৯ জুলাই) সাংবাদিকদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ইস্পাহানে চাপা পড়ে থাকা ইউরেনিয়াম পাওয়া কঠিন হবে এবং যদি সেগুলো উদ্ধারের প্রচেষ্টা হলে ইসরাইল ইরানে নতুন করে হামলা চালাবে।
 
তিনি আরও বলেন, তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরানের বড় একটি ইউরেনিয়াম মজুত ইস্পাহানে সংরক্ষিত ছিল, যা ২২ জুন ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়।
 
তবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান যদি ইউরেনিয়াম উদ্ধারের চেষ্টা করে, তা হলে সেটি নজরে আসবে এবং ইসরায়েল তখনই ব্যবস্থা নেবে। ইসরাইলের মূল্যায়ন অনুযায়ী, এই হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অন্তত দুই বছর পিছিয়ে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের সদস্যরা বারবার বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
 
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আন্না কেলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার বলেছেন, অপারেশন মিডনাইট হ্যামার ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। তার সাহসী নেতৃত্বে বিশ্ব আজ অনেক বেশি নিরাপদ।’
 
এদিকে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনার পারমাণবিক কর্মসূচি ১ থেকে ২ বছর পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।

সূত্র: বিবিসি

আমার বার্তা/এল/এমই