ইসরায়েলের জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ফিলিস্তিনের হামাসের হাতে থাকা আরও ১৩ জন জীবিত জিম্মিকে রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিশ্রুত মোট ২০ জীবিত ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিলো সংগঠনটি। এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ৭ জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বা রেড ক্রস থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

এই বন্দি বিনিময়ের মধ্যেই আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সফরে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন তিনি। এরপর যুদ্ধবিরতির চুক্তি সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন মিশরে। যেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ অন্তত ২০টি দেশের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। 

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে লাল গালিচায় নামেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশে বলেন, ‘এটা একটা দারুণ দিন। হয়তো তোমাদের সেরা দিন।’ উত্তরে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটা ইতিহাস।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখতে মিশরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক স্টিফেন জিউনেস আল জাজিরাকে বলেন, এবার যুদ্ধবিরতিটি স্থায়ীভাবে কার্যকর করার জন্য দৃঢ় মনোভাব দেখা যাচ্ছে। ওয়াশিংটনের সমর্থন না থাকলে এবার চুক্তি ভঙ্গ করা নেতানিয়াহুর জন্য কঠিন হবে।

কিন্তু মিশরের শারম আল শেখ শহরে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া এই চুক্তিতে কি আছে? কাতারের দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি উদ্যোগটি জিম্মি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এতে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য কোনো বিস্তৃত ও স্পষ্ট রূপরেখা নেই।


আমার বার্তা/এমই