যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়: গ্রেপ্তার প্রায় ৫ লাখ

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত জানুয়ারি থেকে প্রায় ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ। এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধরপাকড়কে তার প্রশাসনের “রেকর্ড ভাঙা অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)। সোমবার ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম।

তিনি বলেন, “জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিএইচএস অপরাধে জড়িত ৪ লাখ ৮০ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে বা তারা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।”

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের দিকটি আরও স্পষ্ট করেছে নোয়েমের এই ঘোষণা।

তিনি বলেন, “দেশজুড়ে আমরা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছি যাতে আমাদের কমিউনিটিগুলো আরও নিরাপদ হয়, পরিবারগুলো সমৃদ্ধ হতে পারে, উন্নতি করতে পারে এবং সেই স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে যার ভিত্তিতে এই দেশ গড়ে উঠেছে।”

এর আগে গত মাসে ডিএইচএস জানায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০ লাখ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করেছেন এবং ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রশাসনের ‘রেকর্ড ভাঙা’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অভিযানকে প্রশংসা করে বলেন, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা সহিংস অপরাধ, মাদক রোধ ও শিশুদের সুরক্ষায় অসাধারণ কাজ করছে।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমার প্রশাসনের অধীনে এফবিআই দুর্দান্ত কাজ করছে। ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি সহিংস অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে (রেকর্ড ভাঙা!)। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আইন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছি।”