ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আপত্তি নেই গাজার
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

হামাস নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনো জাতীয় ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে গোষ্ঠীটির কোনো আপত্তি নেই। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনজুড়ে (গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর) নির্বাচনও চায় গোষ্ঠীটি। শনিবার (২৫ অক্টোবর) আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে গাজার ভবিষ্যৎ শাসন নিয়ে হামাসের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুরু করে অস্ত্র সমর্পণ প্রশ্ন নানা বিষয়ে কথা বলেছেন গোষ্ঠীটির শীর্ষ এই নেতা। সাক্ষাৎকারটি আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে সম্প্রচার হবে।
অস্ত্র সমর্পণ প্রশ্নে সাক্ষাৎকারে খলিল আল-হায়া গাজায় ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ও তাদের পুরো সেনা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হামাসের অস্ত্র ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি দখলদারিত্বের অবসান হয়, তাহলে এসব অস্ত্রও রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামাসের অস্ত্রের কী হবে তা নিয়ে অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
চুক্তির আওতায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে হায়া নিশ্চিত করেছেন যে, ‘গাজার অধিবাসীদের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো জাতীয় সংস্থাকে এই উপত্যকা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর কোনো আপত্তি নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য পুনরুদ্ধারের পূর্বশর্ত হিসেবে আমরা নির্বাচনের দিকেও যেতে চাই।’
হায়ার মতে, হামাস ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো এ ব্যাপারে একমত হয়েছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠন জাতিসংঘের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সীমান্ত তদারকি এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী এবং পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের প্রতি গোষ্ঠীর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলের বাধার সমালোচনা করেছেন খলিল আল-হায়া। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় যে পরিমাণ ত্রাণ আসছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় হামাস। ত্রাণ সরবরাহে নিশ্চিতে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগে মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি জানান, গাজায় প্রতিদিন ছয় হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন, ছয়শ’ নয়।
খলিল আল-হায়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরাইলি জিম্মিদের দেহাবশেষ হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, রোববার নতুন নতুন এলাকায় জিম্মিদের লাশ খোঁজা হবে। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার জন্য ইসরাইলকে অজুহাত তৈরির সুযোগ দেয়া হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই
