চীনা যুদ্ধবিমানের বড় ক্রেতা পাকিস্তান
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চীন বিশ্বে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। এই প্রক্রিয়ায় যুদ্ধবিমানখাতে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চলতি সপ্তাহে পাঠানো পেন্টাগনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চীন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান—এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না (এভিআইসি) ও নরিনকো—এই রপ্তানিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের অস্ত্র রপ্তানি তার পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কূটনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায়। কম খরচ ও সহজ শর্তের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে চীনা অস্ত্র বেশ আকর্ষণীয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের যুদ্ধবিমান রপ্তানিতে পাকিস্তান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বর্তমানে চীন তিন ধরনের যুদ্ধবিমান রপ্তানির প্রস্তাব দিচ্ছে—পঞ্চম প্রজন্মের এফসি-৩১ স্টেলথ ফাইটার, চতুর্থ প্রজন্মের জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান এবং যৌথভাবে উন্নয়ন করা জেএফ-১৭ থান্ডার।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, জে-১০সি যুদ্ধবিমান একমাত্র পাকিস্তানেই রপ্তানি করেছে চীন। ২০২০ সালের পর দেওয়া দুটি অর্ডারের আওতায় ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পাকিস্তান বিমান বাহিনী ২০টি জে-১০সি বিমান পেয়েছে। মোট অর্ডারের সংখ্যা ৩৬টি। যদিও মিসর, উজবেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে, পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোনো দেশে এখনো এই বিমান রপ্তানি হয়নি।
এছাড়া জেএফ-১৭ কর্মসূচিকে চীন-পাকিস্তানের সফল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উৎপাদিত এই বিমান বর্তমানে আজারবাইজান, মিয়ানমার ও নাইজেরিয়ার বিমান বাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইরাকও এ বিষয়ে আলোচনা করছে।
পাকিস্তানের জন্য জেএফ-১৭ বিমান বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং একই সঙ্গে একটি বড় প্রতিরক্ষা রপ্তানি পণ্য।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি চীন পাকিস্তানকে উন্নত ও আঘাত হানতে সক্ষম ড্রোন সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে চাইহং ও উইং লুং সিরিজের ড্রোন উল্লেখযোগ্য। এসব ড্রোন অন্য দেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে, যা বৈশ্বিক ড্রোন বাজারে চীনের প্রভাব বাড়াচ্ছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
